‘এমন অযোগ্য বিধায়ক রাজ্যে আর একজনও নেই।’ TMC প্রতিষ্ঠা দিবসে বিস্ফোরক মন্তব্য দলেরই নেতার

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পয়লা জানুয়ারি ছিল বঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress) প্রতিষ্ঠা দিবস। রাজ্য জুড়ে সর্বত্র পালিত হয়েছে সেই অনুষ্ঠান। খুশির আমেজ শাসকমহলে। অন্যদিকে এই দিনই প্রকাশ্যে এল দলের গোষ্ঠীকোন্দল। দলের বিধায়কের বিরুদ্ধেই বিস্ফোরক খোদ দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের (Purba Bardhaman) জামালপুরে (Jamalpur)।

ঠিক কী ঘটেছিল? এদিন প্রাক্তন ব্লক সভাপতি শ্রীমন্ত রায় এদিনের সভা থেকে বিধায়ক অলক কুমার মাঝিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, তাঁর মত অযোগ্য বিধায়ক রাজ্যে আর একটা নেই। তাঁর বক্তব্য, “যারা বিধায়কের হয়ে ঘেউ-ঘেউ করছে তারা সাবধান। তাদের পিছেনে পেট্রোল ঢেলে কীভাবে তাড়াতে হয় তা জানা আছে।” শ্রীমন্ত রায় বলেন, “এখন যারা ঠিকাদার তারা কেউ স্কুলের সভাপতি কেউ অঞ্চল সভাপতি।”

শুধু বিধায়ক নন, এরপর বর্তমান ব্লক সভাপতি তথা জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি মেহমুদ খানের বিরুদ্ধে সরব হয়ে তিঁনি। ইঙ্গিত করে বলেন, “অনেক দুর্নীতি হয়েছে। ওপেন টেণ্ডার হয়নি। আগামী দিনে এরাও তৃণমূল করবেন। পুরনোরাও করবেন। মানুষ এইসব দুর্নীতি আর অন্যায়ের প্রতিকার চাইবে।”

একজোটে সেই মঞ্চ থেকে সুর চড়ান চকদিঘি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান গৌরসুন্দর মণ্ডল। তাঁর অভিযোগ, “আবাসের তালিকার নিয়ে প্রতিটা পঞ্চায়েতে কী সমস্যা হচ্ছে তা কি বিধায়ক একবারও খোঁজ নিয়েছেন? আমরা সংগঠন করা লোক। একমাসের মধ্যে বিধায়ক লোক নিয়ে আসুন। আমরাও লোক দিচ্ছি। কোনওদিনই পেরে উঠবেন না।”

অভিযুক্ত বিধায়কের প্রতিক্রিয়া , এই ইস্যুতে বিধায়ক অলক মাঝি বলেন , “আমি কাজ করেছি কী না তার বিচার করবেন এলাকার মানুষ। শ্রীমন্ত রায় নিজের বুথটাই জেতাতে পারেনি। আমার বিরুদ্ধে কোনও দোষের প্রমাণ হলে দল যা শাস্তি দেবে মেনে নেব।”

tmc flag

উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতিতে প্রকাশ্যে আসে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল। বহু বচসার পর প্রাক্তন জামালপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি তথা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি মেহমুদ খানের অনুগামী ভূতনাথ মালিক সভাপতি নির্বাচিত হন ২২ জন সদস্যের সমর্থনে। এর পরেও দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর