দিলীপ ঘোষের পর এবার মানস ভুঁইয়া! জঙ্গলমহলে কুড়মিদের বিক্ষোভের মুখে মন্ত্রী, উঠল শ্লোগানও

বাংলাহান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি কুড়মিদের (Kurmi) বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন বিজেপি সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এবার রাজ্যের জল সম্পদ অনুসন্ধান ও উন্নয়ন দপ্তরের মন্ত্রী মানস ভুঁইয়াও (Manas Bhunia) কুড়মিদের হাতে ঘেরাও হলেন। ঝাড়গ্রাম থেকে বেলপাহাড়ি যাওয়ার পথে বৃহস্পতিবার কুড়মি সমাজ (পশ্চিমবঙ্গ) এর ঘাঘরা ঘেরা কমিটির কুড়মি নেতৃত্ব রাজ্যের মন্ত্রীকে ঘেরাও করে।

তারপরেই জামবনি চক এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
মানস ভুঁইয়ার কনভয় লক্ষ্য করে কুড়মি সমাজ (পশ্চিমবঙ্গ) রাজ্য সম্পাদক রাজেশ মাহাতো স্লোগান দিতে থাকেন। শুধু তাই নয়, জামবনি মোড়ে কনভয় আটকে গেলে তিনি গাড়ি থেকে নেমেও পড়েন। এরপরেই, রাজ্য কেন এখনও পর্যন্ত সিআরআই রিপোর্টের সাতটি পয়েন্টের ব্যাখ্যা কেন্দ্রে পাঠায়নি সেই বিষয়ে প্রশ্ন তোলা হয়।

যদিও, বিরক্ত না হয়েই মন্ত্রীমশাই কুড়মি নেতাদের সঙ্গে কথা বলেন। প্রায় তেরো মিনিট কুড়মি নেতাদের সঙ্গে বাক্যালাপের পর তাঁদের দাবির কাগজ পত্র নেন মানস ভুঁইয়া। পাশাপাশি, কুড়মি নেতাদের সামনে হাতজোড় করে বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে ভুল বুঝবেন না। বার্তা আমি পৌছে দেব। আমি আপনাদের সমাজের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালবাসা জানাই। আমার রাজনৈতিক এবং সামাজিক জীবনে আপনাদের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক।”

একই সঙ্গে তিনি আরোও বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীও খুবই সহানুভূতিশীল। তবে টেকনিক্যাল জায়গায় কোথায় কী হচ্ছে, একটু স্টাডি করতে দিন, বিষয়টি বিধানসভায় এবং মুখ্যমন্ত্রীকে জানাব। আলোচনার মাধ্যমে একটা জায়গায় আসতে পারব আশা করছি। প্রত্যেকের সামাজিক প্রতিষ্ঠানের গণতান্ত্রিক অধিকারের ভিত্তিতে আপনারা আপনাদের কথা বলছেন। প্রশাসনিক ভাবে চূড়ান্ত করবে কেন্দ্র, রাজ্যের ক্ষমতা নেই। তবে কী কী করণীয় পর্যালোচনা করে দেখব।”

manash

কুড়মিদের সাথে কথা বলার পাশাপাশি মানস ভুঁইয়া ৭টা পয়েন্টের জাস্টিফিকেশন কপিটাও চেয়ে নেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, পর্যালোচনার পর নিশ্চয় জানাব। প্রত্যেক সম্প্রদায়ের দেবতা রয়েছে প্রণাম জানাই।” এরপর কুড়মি রাজ্য নেতা রাজেশ মাহাত বলেন, “৭৩ বছরের বঞ্চনা। রাজ্য সরকারের যা করণীয় তার অনেকটাই করেছে। তবে আর একটু কাজের জন্য কেন বসে থাকতে হবে।”


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর