মাত্র ১০ সেকেন্ডেই আপনি বাড়ি বসেই জানতে পারবেন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ চীনের (Chaina) করোনা (Corona) আতঙ্কে আতঙ্কিত হয়ে রয়েছে গোটা দেশ। করোনা আতঙ্ক শুধু চীন নয় এখন সমগ্র বিশ্বের মানুষের মধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে। এখনও অবধি করোনা ভাইরাস বিশ্বের ৬০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানকার মানুষজন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। ঘর থকে বেরোন বন্ধ করে দিয়েছে।

images 3 11
করোনা আতঙ্কের থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য চীনকে সব রকম সাহায্য করছে ভারত। প্রয়োজনীয় ওষুধ চীনে পাঠানো হচ্ছে ভারত (India) থেকে। বিভিন্ন বিজ্ঞানীরা এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করতে বলছেন। সব সময় হাত পা সাবান দিয়ে ধুয়ে পরিস্কার রাখতে হবে, রোগির থেকে ৩-৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে, রোগীর খাওয়া খাবার খাওয়া যাবে না, হাঁচি- কাশি পেলে তা কিছুটা দূরে গিয়ে দিতে হবে ইত্যাদি।

অনেক ব্যক্তি আছেন যারা এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, কিন্তু সঠিকভাবে বুঝতে পারছেন না। সেক্ষেত্রে বর্তমানে বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন এমন কিছু পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনি নিজেই জানতে পারবেন যে আপনি এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা। বিজ্ঞানীরা (Scientists) জানাচ্ছেন, অকারণে আতঙ্কিত হবেন না। সামান্য কিছু নিয়ম মেনে চললেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে যাবে।

এই বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির দেহে এই রোগের চিহ্ন বা লক্ষণ খুঁজে পেতে অনেকদিন সময় লাগে। সাধারণত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে ব্যক্তির দেহে জ্বর বা কাশি হতে দেখা যায়। সেইকারণে ব্যক্তিটি হাসপাতালে যাওয়ার আগেই তার ফুসফুসের ৫০% ফাইব্রোসিস তৈরি হয়ে যায়। এর অর্থ অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে, ব্যক্তিটির হাতে সময় খুবই কম।

200117180847 wuhan virus exlarge 169
তাই তাইওয়ানের (Taiwan) বিশেষজ্ঞরা বলছেন করোনা ভাইরাসে কোন ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছেন কি না, সেটা সে নিজে নিজেই একটি পরীক্ষার (Test) মাধ্যমে বুঝতে পারবেন। পদ্ধতিটি হল- প্রতিদিন সকালে উঠেই কয়েক সেকেন্ড পরিচ্ছন্ন পরিবেশে লম্বা একটা শ্বাস নিতে হবে। তারপর সেটাকে দশ সেকেন্ডের কিছুটা বেশি সময় ধরে নিজের মধ্যে আটকে রাখতে হবে। যদি এই দম ধরে রাখার সময়ে আপনি কোনো কাশি বা বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভব না করেন, তাহলে আপনার ফুসফুসে কোনো ফাইব্রোসিস তৈরি হয়নি। কোনো ইনফেকশন হয়নি, অর্থাৎ আপনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন।

অপরদিকে ডাক্তাররা আরও একট ভালো উপদেশ দিয়েছেন, সেটা হল সবাই চেষ্টা করবেন যাতে আপনার গলা ও মুখের ভেতরটা কখনো শুকিয়ে না যায়, বেশিরভাগ সময় যেন তা ভেজা ভেজা থাকে। সেক্ষেত্রে পনেরো মিনিট অন্তর সামান্য হলেও জল পান করুন। তাহলে কিছুটা হলেও আপনি এই রোগ থেকে মুক্ত থাকবেন।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর