বাংলা হান্ট ডেস্ক: যত দিন যাচ্ছে ততই দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে সভ্যতা। পাল্লা দিয়ে তৈরি হচ্ছে নতুন নতুন সব শহর এবং কলকারখানাও। তবে, তার সাথে সাথে মানুষ স্বার্থপরভাবে করে চলেছে পরিবেশের যথেচ্ছ ক্ষতি। নির্বিচারে গাছ কাটার পাশাপাশি বিভিন্ন দূষকের উপস্থিতি এই অবস্থাকে আরও দুর্বিষহ করে তুলেছে।
যদিও, তার প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়েছে মানবজীবনেও। অর্থাৎ বিশ্বজুড়ে প্রকৃতির ওপর চলা ধ্বংসলীলার কারণে বিঘ্নিত হচ্ছে প্রাকৃতিক ভারসাম্য। যার ফলে অতিবেগুনি রশ্মির বিকিরণের পাশাপাশি, গলে যাচ্ছে হিমবাহ। তবে, এখানেই শেষ নয়, তার সাথে যুক্ত হয়েছে তাপপ্রবাহ, খরা বা অতিবৃষ্টির মত প্রাকৃতিক ঘটনাগুলিও।
তবে, পরিবেশবিদেরা এর জন্য দায়ী করছেন বিশ্বে ক্রমাগত বেড়ে চলা উষ্ণায়নকেই। শুধু তাই নয়, এর সুদূরপ্রসারী প্রভাবের ফলে এবার বড়সড় বিপদের আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। এমনকি, যার প্রভাবে সমুদ্রজগত ধ্বংস হয়ে যেতে পারে বলেও মনে করেছেন তাঁরা।
ঠিক কি ঘটতে চলেছে?
মূলত, সমুদ্রজগৎ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার অর্থ হল, মেরিন বায়োডাইভারসিটি বিনষ্ট হয়ে যাওয়া। প্রাথমিকভাবে, “গ্লোবাল ওশেন ওয়ার্ম” বা মেরুপ্রদেশের বরফ গলে যাওয়ার ফলেই সমুদ্রজগতে ক্রমশ ঘনিয়ে আসছে গভীর বিপর্যয়। আর এই বিপর্যয় এতটাই দ্রুত এগিয়ে আসছে যে, তা ২১০০ সালের মধ্যেই প্রভাব ফেলতে পারে বিশ্বের সমুদ্রজগতে।
এর ফলে কি সমুদ্রের জল শুকিয়ে যাবে?
এখনও পর্যন্ত “সায়েন্স” পত্রিকায় প্রকাশিত এক গবেষণা অনুযায়ী জানা গিয়েছে, সমুদ্রের জল বিশাল পরিমানে উষ্ণ হয়ে যাওয়ার ফলেই মূলত বিরাট বিপর্যয় ঘটতে পারে। এমনকি, ডাইনোসর বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ার পর থেকে এই জাতীয় ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করেননি কেউই। তবে, এই ঘটনায় সমুদ্রের জল শুকিয়ে না গেলেও সমুদ্র জলের উষ্ণতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে “অক্সিজেন ডিপ্লিশন”-ও সমান তালে ঘটবে।
আর এর ফলেই কার্যত ধ্বংস হয়ে যেতে পারে সমগ্ৰ সমুদ্রজগৎ। শুধু তাই নয়, এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে একাধিক জলজ প্রাণী এবং উদ্ভিদও। অর্থাৎ, মাত্র ৮০ বছরের মধ্যেই এই ঘটনা যে চরম বিপর্যয় বয়ে আনতে চলেছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।