বাংলাহান্ট ডেস্কঃ সমগ্র বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসের সেকেন্ড ওয়েভের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তখন নিউজিল্যান্ড (New Zealand) দিল এক আনন্দ সংবাদ। মাত্র তিন মাস, আর সম্পূর্ণ করোনা উধাও। লকডাউনের বিধি নিষেধ তুলে দিয়ে এবার স্বাভাবিক জীবন যাপনের পথে নিউজিল্যান্ড। স্থানীয় সময়ে সোমবার দুপুরে সেদেশের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্দা আর্দের্ন (Jacinda Ardern) ঘোষণা করলেন, শেষ করোনা আক্রান্ত ব্যক্তিও সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
কঠোর লকডাউন ব্যবস্থা
লকডাউনই ছিল একমাত্র পথ। গত ২৮ শে ফেব্রুয়ারী প্রথম করোনা আক্রান্তের খবর পাওয়া মাত্রই লকডাউন জারী করেছিলেন মাত্র ৪৯ লক্ষ জনগণের দেশ নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী। তারপর শুরু হয় কঠোর বিধিনিষেধ। নাগরিকরা যাতে বাড়ি থেকে না বেরোন, সেদিকে লক্ষ্য রাখা হয়েছিল কড়া ভাবেই।
আক্রান্তের সংখ্যা
মাত্র ১৫০৪ জন ব্যক্তি আক্রান্ত হয়েছিলেন মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রকোপে। এবং প্রাণ হারিয়েছেন মাত্র ২২ জন। গত ১৫ ই মে শেষ সংক্রমণের খবর পাওয়া গিয়েছিল নিউজিল্যান্ডে। তারপর সেই ব্যক্তি সুস্থ হয়েও বাড়ি ফিরে গেছেন। পুরনো চেনা ছন্দে ফিরছে এই মারণ ব্যাধি মুক্ত এই দেশ। ধীরে ধীরে খুলে দেওয়া হচ্ছে সব স্থানই।
লকডাউনের সঙ্গে করা হয়েছিল প্রচুর সংখ্যায় করোনা টেস্ট
নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য বিভাগের এক আধিকারিক জানালেন, ”নিউজিল্যান্ডের এই সাফল্যের পেছনে রয়েছে কঠোর লকডাউন ব্যবস্থা এবং বেশি মাত্রায় করোনা পরীক্ষা”। নিউজিল্যান্ড সরকার সাত সপ্তাহের কঠোর লকডাউন জারি নাগরিকদের বাড়িতে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। নাগরিকদের প্রয়োজনে তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে সমস্ত রকম পরিষেবা।
চেনা ছন্দে ফিরছে নিউজিল্যান্ড
নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, প্রচুর পরিমাণে টেস্ট এবং লকডাউনের মাধ্যমেই তারা আজকের এই দিনটি দেখতে পেয়েছে। কোন ব্যক্তি আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থাকলেই, তাঁকে আইসোলেশনে রাখা হয়েছিল। আর দেশের অর্থনীতির বিষয়ে জানান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে, অর্থনীতি আবার আগের অবস্থানে ঠিক ফিরে আসবে। মহামারি কাটিয়ে উঠে আবার নিজের পুরনো জীবনে ফিরছে নিউজিল্যান্ড। ধাপে ধাপে লকডাউন তুলে খুলে দেওয়া হচ্ছে সমস্ত অফিস, প্রতিষ্ঠান, জনবহুল স্থান।