বাংলাহান্ট ডেস্ক : কেদারনাথ মন্দির (Kedarnath Temple) চত্বরে কেউ যদি ভিডিও বা রিলস বানান তাহলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। এই মর্মে সতর্কবার্তা জারি করল উত্তরাখণ্ড পুলিশ। সম্প্রতি কেদারনাথ মন্দির চত্বর থেকে রিলস বানিয়ে একজন নেট ব্যবহারকারী সোশ্যাল মাধ্যমে পোস্ট করেছিলেন।
বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ (বিকেটিসি) এর পরই ধর্মীয় স্থানে এই ধরনের ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছে। অনেকেই রয়েছেন যারা মন্দির চত্বরে ভিডিও ও রিলস তৈরি করছেন এবং তা আপলোড করছেন সোশ্যাল মাধ্যমে। বিষয়টি নিয়ে বিকেটিসি বলছে, এইভাবে মন্দির চত্বরে তৈরি ভিডিও যদি সমাজ মাধ্যমে পোস্ট করা হয় তাহলে অনেকের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত লাগতে পারে।
অবিলম্বে এই জিনিস বন্ধ করা উচিত। এই ব্যাপারে ইতিমধ্যেই রাজ্য পুলিশকে চিঠি দিয়েছে বিকেটিসি। চিঠি পাওয়ার পর রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, কোনও রকম ভিডিও বা রিলস বানানো যাবে না কেদারনাথ মন্দির চত্বরে। চলবে কড়া নজরদারি। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এই ধরনের কাজ বন্ধ করার জন্য।
এরপরেও যদি কেউ ভিডিও বা রিলস তৈরি করেন তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবে পুলিশ। কেদারনাথ মন্দির চত্বরে এক তরুণ-তরুণীর তৈরি করা ভিডিও নিয়ে শুরু হয় এই বিতর্ক। এই ভিডিওর সত্যতা যদিও বাংলাহান্ট যাচাই করেনি। ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, হলুদ পাঞ্জাবি পরা এক তরুণ ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছেন।
এক তরুণী তার সামনেই হলুদ শাড়ি পড়ে বসে রয়েছেন। এরপর তরুণীটি হাতে আংটি নিয়ে বিয়ের প্রস্তাব করছেন তরুণকে। এরপর তরুণটি অবাক হয়ে যান এবং আবেগতাড়িত হয়ে জড়িয়ে ধরেন তরুণীটিকে। এই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর অনেকেই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন ধর্মীয় স্থানে আদৌ কি এই ধরনের ভিডিও তৈরি করা যায়?
পাশাপাশি অনেকে বলছেন, মোবাইল ফোন নিয়ে কেন ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে মন্দির চত্বরে? বিতর্ক শুরু হওয়ার পরই আসরে নামে বদ্রীনাথ-কেদারনাথ মন্দির কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় মন্দির চত্বরে এই ধরনের কাজ বরদাস্ত করা হবে না। এরপর পুলিশ প্রশাসনের কাছে চিঠি দিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানানো হয় মন্দির কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে।