এলাচের চাষ করতে করতেই পড়াশোনা, প্রথম চেষ্টাতেই উত্তীর্ণ PSC পরীক্ষায়! অবাক করা সাফল্য পড়ুয়ার

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মানুষ চেষ্টা করলে সবকিছুই করতে পারে। এই কথাটি ফের একবার প্রমাণ করে দিলেন কেরালার (Kerala) এক মহিলা এলাচ চাষী। সংসারের দারিদ্রতা ও প্রতিবন্ধকতাকে উড়িয়ে দিয়ে প্রথম চেষ্টাতেই কেরলের পিএসসি (Public Service Commission) উত্তীর্ণ হলেন ২৮ বছর বয়সী সেলভাকুমারী। আর তারপরেই তাকে ঘিরে নেটদুনিয়ায় চর্চা শুরু হয়েছে।

আমাদের দেশে সরকারি চাকরির জন্য উন্মাদনা নতুন কিছু নয়। চাকরিপ্রার্থীদের তুলনায় পদের সংখ্যা খুবই কম। তাই প্রত্যেকটি সরকারি চাকরির পরীক্ষায় অত্যন্ত কঠিন চাকরিপ্রার্থীদের কাছে। কিন্তু কেরলের সেলভাকুমারী সৃষ্টি করলেন নতুন ইতিহাস। ২৮ বছর বয়সী এই তরুনীর মা’ও এলাচ চাষের সাথে যুক্ত। এলাচের খেতে কাজ করতেন তার মা।

একটা সময় সংসারের হাল ধরার জন্য সেলভাকুমারীও এই এলাচ ক্ষেতে কাজ করতে শুরু করেন। কেরালার বন্দিপিয়ারিয়ার ছোটুপাড়া গ্রামের বাসিন্দা সেলভাকুমারী। তার দুটি বোন রয়েছে। ছোটবেলা থেকে মা তাদের মানুষ করেন। বাবা ছেড়ে চলে গিয়েছেন বহুদিন হল। একদিকে দারিদ্রতা, অন্যদিকে পড়াশোনা, এই দুই দিক সমানভাবে সামনে আসেন সেলভাকুমারী।

সেলভাকুমারী এক কামরার ঘরে তার মা ও দিদার সাথে থাকেন। ছোটবেলা থেকেই সে ছিল পড়াশুনায় মেধাবী। তিরুবনন্তপুরমের সরকারি কলেজ থেকে গণিতে স্নাতক করেন। আরো বড় কথা হল সেলভাকুমারী এমফিল-এ শীর্ষস্থান দখল করেছিলেন। মালায়ালাম ভাষা না জানার জন্য কলেজে তাকে অনেক সময় বিদ্রুপের শিকার হতে হতো।

 

কিন্তু বর্তমানে তার এই রেজাল্ট সবাইকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। সেলভাকুমারী ক্ষেতে কাজ করার সময় পড়াশোনা করতেন। স্বপ্ন ছিল ভালো চাকরি পাওয়ার। সেই আশা নিয়ে তিনি কেরলের এসএসসি পরীক্ষায় বসেন। প্রথমবারের চেষ্টাতেই উত্তীর্ণ হন কেরলের এসএসসি। পরবর্তী দিনে ভালো চাকরি করে মায়ের পাশে দাঁড়ানোই লক্ষ ২৮ বছর বয়সী সেলভাকুমারীর।

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

X