বাংলাহান্ট ডেস্ক : মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে (Malda Medical College & Hospital) তৈরী হলো রাজ্যের প্রথম ‘ক্যান্সার হাব’। এই প্রথম সরকারী কোনো হাসপাতালে ক্যান্সার চিকিৎসা করার জন্য দুটি অত্যাধুনিক যন্ত্র বসানো হল। আগামী মাস থেকেই এই দুটি যন্ত্র মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ব্যবহার করা হবে। এই দুটি যন্ত্রের একটি হলো ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত রেডিওথেরাপি যন্ত্র ও অপরটি হলো কেমোথেরাপি যন্ত্র। এই নয়া উদ্যোগের ফলে এবার উত্তরবঙ্গবাসী ভীষণভাবে লাভবান হবে বলেই মনে করছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
জানা গিয়েছে, এই বছর ডিসেম্বরেই মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে শুরু হবে আধুনিক যন্ত্র ও চিকিৎসা পদ্ধতি দ্বারা ক্যান্সেরের চিকিৎসা এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য যে, এই মাসেই ট্রমা কেয়ার ইউনিটে চালু হতে চলেছে ‘ক্যান্সার হাব’। তাঁদের কথায় এটিই উত্তর বঙ্গের সবচেয়ে বৃহৎ ক্যান্সার হাব হতে চলেছে। তাঁদের আরও বক্তব্য, এখান থেকেই রোগীদের প্রত্যহ কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দেওয়া হতে পারে। এটি শুধুমাত্র মালদা বা উত্তরবঙ্গের রোগীদের জন্যই যে গুরুত্বপূর্ণ খবর হতে চলেছে এমনটা নয়, এমনকী ঝাড়খণ্ডের রোগীরাও এতে উপকৃত হতে চলেছেন।
মালদা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল সূত্রে খবর এই যে, হাসপাতালের একটি গোটা অংশ জুড়ে তৈরী হচ্ছে এই ক্যান্সার হাব ও ক্যান্সার ইউনিট। এক তলা ও দু’তলায় থাকছে রোগীদের চিকিৎসার জন্য সুসজ্জিত সুপরিকল্পিত কাঠামো এবং তাঁদের থাকার ব্যবস্থা। এই প্রথম উত্তরবঙ্গ তো বটেই পশ্চিমবঙ্গের কোনো সরকারী হাসপাতালে সিটি সিমুলেটর ও লিন্যাক মেশিন ফিট করা হয়েছে। ক্যান্সার রোগীদের সিটি স্ক্যান ও রেডিওথেরাপি করানোর জন্য ব্যবহার করা হয় এই মেশিন দুটি।
মালদা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এতদিন রোগীদের কেমোথেরাপি করা হলেও রেডিওথেরাপির কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এবার ট্রমা কেয়ার ভবনে সব সুবিধা পাওয়া যাবে। স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে অনুমুতি পাওয়ার পর একজন অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর এবং একজন অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসরকেও পাওয়া গেছে এই কাজের জন্য। আপাতত, এঁরা ছাড়াও ভবিষ্যতে আরও বেশ কিছু চিকিৎসক দরকার হবে বলে জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।