বাংলাহান্ট ডেস্ক : মালদ্বীপের (Maldives) সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছে। ভারতের মাছ ধরার নৌকো, ‘হলি স্পিরিট’কে ছেড়ে দেওয়ার কারণে রীতিমতো তোলপাড় শুরু হয়েছে দুই দেশেই। ইতিমধ্যেই নিজেদের জলসীমার মধ্যে পাঁচ ধরার জন্য আশা ভারতীয় নৌকাটিকে ৪.২ মিলিয়ন MVR জরিমানা করেছে মালদ্বীপ সরকার।
তবে পরে সেই জরিমানা মাফ করে দিয়েছে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ মুইজ্জুর কার্যালয়। জরিমানা মুকুব করে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মালদ্বীপের রাষ্ট্রপতির কার্যালয় থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়, যাতে অতি দ্রুত ভারতীয় নৌকা মালদ্বীপ ছেড়ে চলে যায়। সেই সময় হলি স্পিরিট ভারতে ফিরে আসে। তবে প্রশ্ন একটাই, ভারতীয় নৌকার উপর আরোপ করা জরিমানা হঠাৎ কেন মাফ করে দিল মালদ্বীপ সরকার?
আরোও পড়ুন : আগ্রহ নেই সেলফি ক্রেজে! রাজনীতির অন্য অঙ্ক কষছেন যাদবপুরের গেরুয়া প্রার্থী অনির্বাণ গাঙ্গুলি
এই প্রশ্নের উত্তর এখনো অজানা। প্রসঙ্গত, ভারতীয় মাছ ধরার জাহাজ হল স্পিরিট এবং তার পরিচালনাকারী অ্যান্টনি জয়াবালনকে আটক করেছিল মালদ্বীপ সরকার। ভারতীয় নৌকা আটক করে সেই নৌকার উপর ৪.২ মিলিয়ন MVR জরিমানা করা হয়। যদিও ১০ মার্চ রাষ্ট্রপতির কার্যালয় সেই পুরো জরিমানা মাফ করে দেয়। ঠিক তার ৭ দিন পর মালদ্বীপ ছেড়ে ভারতে ফিরে আসে ওই ভারতীয় নৌকোটি।
আরোও পড়ুন : শখ মেটেনি ২টো বিয়ের পরেও! ঘটিয়েছেন আরোও এক নব কীর্তি! জানাজানি হতেই যা হল….
এখন প্রশ্ন একটাই, রাষ্ট্রপতির হাতে ওই ক্ষমতা না থাকার পরে তিনি কেন হঠাৎ এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করলেন? এই কাজ করা উচিত মৎস্য মন্ত্রণালয়ের। যদিও এই প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের পক্ষ থেকে কোন সদুত্তর মেলেনি। প্রসঙ্গত, গত ২২শে অক্টোবর ভারতের একটি মাছ ধরার নৌকো আটক করে মালদ্বীপ কোস্টগার্ড।
২৮ শে অক্টোবর ৪.২ মিলিয়ন MVR এর জরিমানাও করা হয় ওই নৌকাটিকে। সেই সময় জরিমানা মাফ করে দেওয়ার অনুরোধ জানানোর পরেও তা করেনি মালদ্বীপ সরকার। পরে অবশ্য মুইজ্জু সরকার ক্ষমতায় আসার পর ওই জরিমানা মাফ করে দেয়। জরিমানার টাকা মিটিয়ে দেওয়ার জন্য আদালতে মামলা করে সে দেশের মৎস্য মন্ত্রণালয়। ইতিমধ্যেই মৎস্য মন্ত্রণালয়ের সেই অনুরোধ খারিজ করে দিয়েছে আদালত।