বাংলাহান্ট ডেস্ক : ক্ষমতায় এলেই দেওয়া হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! এই প্রতিশ্রুতি দিয়েই মেঘালয়ে প্রচার অভিযান শুরু করেছে তৃণমূল। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সফরেই তা ঘোষণা করা হয়। সংগঠনকে আরও মজবুত করার উদ্দেশে গত সোমবারই মেঘালয় পাড়ি দেন মমতা ও অভিষেক।
মেঘালয়ের আতিথেয়তায় মুগ্ধ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। এরই সঙ্গে তিনি খুশি মেঘালয়ে তৃণমূলের সংগঠন নিয়েও। সেখানেই রাজ্যের মহিলাদের জন্য বাংলার লক্ষ্মীর ভান্ডারের মতোই উই কার্ড চালু করেছিলেন। আর এক সপ্তাহের মধ্যেই এই পরিষেবা পাওয়ার জন্য দশ হাজারেরও বেশি মহিলারা আবেদন জানিয়েছেন বলে খবর। প্রসঙ্গত, তৃণমূল কংগ্রেস মেঘালয়ে ক্ষমতায় এলে সব মহিলাদের We Card এর মাধ্যমে মাসিক ১০০০ টাকা দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বাংলার শাসক দল৷
মমতা বন্দোপাধ্যায় তাঁর মেঘালয় সফরে জানান, ‘আমাদের যাত্রা শুরু হল। এই রাজ্য আগামী দিনে এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাবে।’ আগামী বছরই মেঘালয়ের বিধানসভা নির্বাচন। এর আগেই সেখানকার প্রধান বিরোধী দল তৃণমূলের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় মেঘালয় সফর করেছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতোই একটি প্রকল্প মেঘালয়তেও ঘোষণা করে দেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ক্ষমতায় এলে মহিলাদের ১০০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি।
পশ্চিমবঙ্গে তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর বাংলার বাইরের রাজ্যগুলিকে নিশানা করেছে তৃণমূল। এর মধ্যে ঘাসফুলের শিবিরের প্রধান লক্ষ্য ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি। আগামী বছর ত্রিপুরা, মেঘালয়ের মতো রাজ্যগুলিতে বিধানসভা নির্বাচন। দলীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের মতো মেঘালয়েও মহিলা ভোটাররাই পাখির চোখ তৃণমূলের। সেই ভোট ব্যাঙ্ককে টানতেই ক্ষমতায় এলে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ধাঁচে প্রকল্প আনা হবে বলে ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।