কাজ না পেয়ে ভিন রাজ্যে যাওয়াই হল কাল! মিজোরামে পাথর খাদানের ধসে প্রাণ গেল বাংলার ৫ যুবকের

বাংলাহান্ট ডেস্ক : মিজোরামে পাথর খাদান ধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১০ । এদের মধ্যে পাঁচজন বাংলার যুবক। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী মৃতদের মধ্যে বাংলার তিন যুবকের পরিচয় সামনে এসেছে। এই তিন জনই নদীয়ার তেহট্টের বাসিন্দা। এরা একই সাথে মিজোরামে গিয়েছিলেন পাথরের খাদানের কাজে। সূত্র মারফত এখনো পর্যন্ত তিন মৃত যুবকের নাম জানা গিয়েছে। এনার হলেন বুদ্ধদেব মণ্ডল (২৪), মিন্টু মণ্ডল (২২) ও রাকেশ বিশ্বাস (২০)। এদের তিনজনেরই বাড়ি তেহট্টের কালিতলা পাড়া এলাকায়।

স্থানীয় সূত্র মারফত খবর, বাংলা থেকে এই যুবকেরা গত ৮ই নভেম্বর একটি স্থানীয় ঠিকাদার সংস্থার অধীনে মিজোরামে কাজ করতে যান। মিজোরামে জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজের সাথে যুক্ত ছিল এই ঠিকাদার সংস্থাটি। খাদান থেকে পাথর এনে করা হচ্ছিল রাস্তার কাজ। সেই পাথর আনার কাজে যুক্ত ছিলেন মিন্টু, রাকেশরা।

অন্যান্য দিনের মতো সোমবারও কাজ চলছিল ওই খাদানে। সন্ধ্যার দিকে কয়েকটি বড় পাথরের চাঁই খাদানে নীচের দিকে গড়িয়ে পড়তে থাকে। সেই পাথরের মধ্যেই চাপা পড়েন ১৩ জন শ্রমিক। এক শ্রমিকের কথায়, দুর্ঘটনা ঘটার প্রায় ঘন্টা চারেক পরে শুরু হয়েছিল উদ্ধার কাজ। এরপর ধীরে ধীরে গতকাল পর্যন্ত ১০ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়। উদ্ধার হওয়ার মৃত যুবকদের মধ্যে ৫ জনই পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা। এদের মধ্যে তিনজন তেহট্টের বাসিন্দা। অপর দুজন উত্তর ২৪ পরগনা ও চাপড়ার বাসিন্দা ছিলেন।

Mizoram workers

মিজোরামে কাজে গিয়ে মৃত্যু হওয়া তেহট্টের যুবক রাকেশের বাবা কালু বিশ্বাস জানিয়েছেন, “আমার ছেলে এখানে কোনো কাজ পাচ্ছিল না। তাই বাধ্য হয়ে মিজোরামে যায় কাজে। রবিবার জামাইবাবুর সাথে ওর শেষ কথা হয়েছিল।” অমিত মন্ডল নামের বাংলার আরেক যুবক কাজ করতেন ওই ঠিকাদার সংস্থার হয়েই। সম্প্রতি তিনি ছুটি নিয়ে মিজোরাম থেকে বাড়ি ফিরেছেন। সংস্থার তরফে অমিতবাবুকেই ফোন করে মৃত্যুসংবাদ গুলি দেওয়া হয়। অমিত মন্ডল বলেন, ভাগ্যিস আমি ছুটিতে বাড়ি এসেছি। ওখানে থাকলে হয়তো আমারও মৃত্যু হত।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর