বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত শুক্রবারের ভয়ংকর ভূমিকম্পে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ভারতের প্রতিবেশী রাষ্ট্র মায়ানমার (Myanmar)। সরকারি সূত্র বলছে, ভূমিকম্পের ফলে এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১৬০০-রও বেশি নাগরিক। আহত কয়েক হাজার। যেদিকে দুচোখ যায় সেদিকেই শুধু মানুষের হাহাকার। ইতিমধ্যেই মায়ানমারের ৬টি অঞ্চলে জারি করা হয়েছে জরুরি অবস্থা।
মায়ানমারে (Myanmar) বিমান হামলা
তবে এই পরিস্থিতিতেও একের পর এক বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে সে দেশের সামরিক জুন্টা সরকার (Military Junta)। মায়ানমারের সামরিক সরকারের এহেন আচরণকে ‘জঘন্য এবং অগ্রহণযোগ্য’ বলে আখ্যা দিয়েছে রাষ্ট্রসংঘ। রাষ্ট্রসংঘের বিশেষ প্রতিনিধি টম অ্যান্ড্রুস জানিয়েছেন, ভূমিকম্পের পর যখন উদ্ধারকার্য চলছে, তখনও বোমাবর্ষণ করে চলেছে সেনাবাহিনী। এই ঘটনা সত্যিই অবিশ্বাস্য। অবিলম্বে মায়ানমারের জুন্টা সরকারকে সব ধরনের সামরিক অভিযান স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন টম অ্যান্ড্রুস।
আরও পড়ুন : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে নয়া মোড়? জেলেনস্কির ভবিষ্যদ্বাণীর পরেই পুতিনের লিমুজিনে বিস্ফোরণ
শুক্রবার দুপুরে তীব্র ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে মায়ানমারের (Myanmar) মাটি। রিখটার স্কেলে কম্পনের মাত্রা ছিল ৭.৭। ভূমিকম্পের প্রভাবে তাসের ঘরের মতো হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বহুতল থেকে শুরু করে স্থাপত্য, মসজিদ। সূত্রের খবর, শুক্রবার দুপুরে প্রথম ভূমিকম্পের পর স্থানীয় সময় বেলা সাড়ে তিনটা নাগাদ জুন্টা বাহিনী বিমান হামলা চালায় উত্তরের রাজ্য শানের নাউংচোতে।
আরও পড়ুন : কঠোর নিরাপত্তা! ইদ-রামনবমীতে মোথাবাড়িকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে কী কী ব্যবস্থা? জানালেন পুলিশ সুপার
জানা গিয়েছে, এই বিমান হামলায় (Airstrike) নিহত হয়েছেন ৭জন। এমনকি মায়ানমারের উত্তর-পশ্চিমের সাগাইং অঞ্চলের চ্যাং-ইউ শহরে বিমান হামলার দাবি করেছে সে দেশের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলি। উল্লেখ্য, শুক্রবারের ভয়াবহ ভূমিকম্পের উৎসস্থল ছিল এই সাগাইং। পাশাপাশি থাইল্যান্ডের সীমান্ত লাগায়া অঞ্চলগুলিতেও বিমান হামলা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
মায়ানমারে উৎখাত হওয়া বেসামরিক প্রশাসনের প্রতিনিধিত্ব করা দ্য ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) একটি বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চলগুলিতে ২ সপ্তাহের জন্য সামরিক অভিযান বন্ধ রাখা হবে। তবে তাদের উপর আক্রমণ আসলে সশস্ত্র বাহিনী প্রতিরোধ অভিযান চালিয়ে যাবে বলেই জানিয়েছে এনইউজি।