পেনশনের টাকা হাতিয়ে বৃদ্ধা ‘মা’কেই বাড়ি থেকে তাড়ায় ছেলে-বউমা! আদালতের নির্দেশে যা হল…..

বাংলাহান্ট ডেস্ক : স্বামী মারা গিয়েছেন বহুদিন। সম্বল বলতে ছিল একটি ছোট্ট বাড়ি। কিন্তু শেষ জীবনে পুত্র ও পুত্রবধূর অত্যাচারে ছাড়তে হয়েছিল সেই বাড়ি। বিন্দুমাত্র কুণ্ঠা বোধ না করে বৃদ্ধা মাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দিয়েছিলেন ছেলে ও ছেলের বউ। এরপর সেই বৃদ্ধা সুবিচারের আশায় দ্বারস্থ হন আদালতের।

আদালতের হস্তক্ষেপে শেষে নিজের ভিটেমাটি ফিরে পেলেন বৃদ্ধা। এরই সাথে আদালতের নির্দেশে ওই বাড়ি থেকে উৎখাত করা হল ছেলে, ছেলের বউ ও নাতনিকে। গত ১৮ ই মে আদালত নির্দেশ দেয় ওই বৃদ্ধা যাতে নিজের বাড়িতে বসবাস করার সুবিধা পান সেই বিষয়টি প্রশাসনকে দেখতে হবে। কোর্টের নির্দেশে অবশেষে সেই বৃদ্ধা ফিরলেন নিজের বাড়িতে।

বৃদ্ধার আইনজীবী গোবিন্দ বিশ্বাস বলেছেন, পুস্পরানি বালা নদিয়ার বেতাই উত্তর জিতপুরের বাসিন্দা। তিন ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে তার। বৃদ্ধার স্বামী পেশায় শিক্ষক আদিত্য বালা মারা যান ১৯৮৯ সালে। এরপর তিনি খুব কষ্ট করে মানুষ করেন পুত্র ও কন্যাকে। দুই ছেলে কাজের সূত্রে থাকেন বাইরে এবং এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে।

অন্য এক ছেলে বিদ্যুৎ বালা থাকেন বৃদ্ধার বাড়িতেই। বৃদ্ধার পাঁচ শতক জমির উপর পরে পুত্র তিনটি পাকা ঘর সহ একটি বাড়ি তৈরি করেন। অভিযোগ এর পর বৌমা-নাতনিরা ওই বৃদ্ধার পেনশনের টাকা হাতিয়ে নিতেন। প্রতিবাদ করায় পুত্র ও পুত্রবধূ ওই বৃদ্ধাকে মারধর করে তাড়িয়ে দেন বাড়ি থেকে।

কিছুদিন রাস্তায় ঘোরার পর আশ্রয় নেন মেয়ের শ্বশুর বাড়িতে। এরপর ওই বৃদ্ধা দ্বারস্থ হন তেহট্ট আদালতের। ১৮ই মে আদালত নির্দেশ দেয় ওই বাড়িতে বৃদ্ধাকে পুনরায় বসবাসের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। পুলিশের পক্ষ থেকে আদালতে কুড়ি দিনের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

Nadia 95

এমনকি ছেলে ও অন্যান্য আত্মীয়রা যাতে ওই বাড়িতে না যেতে পারে সেই ব্যবস্থাও করতে হবে প্রশাসনকে। অবশেষে নিজের বাড়িতে ফেরার পর পুষ্পরানী বালা জানিয়েছেন, “খুব খুশি আদালতের রায়ে। স্বামীর ভিটেতে জীবন কাটাতে পারব। ছেলে-বৌমার অত্যাচারের হাত থেকে রক্ষা পেলাম।”


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর