বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এবার কার্যত উভয় সংকটে করল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। রাষ্ট্রপতি জো বাইডেন সেনা সরানোর নির্দেশ দেওয়ার পরেই আফগানিস্তানে রীতিমতো সক্রিয় হয়ে উঠেছিল তালিবান। শেষ পর্যন্ত আফগান সেনাকে হারিয়ে ক্ষমতা দখল করেছে তারা। কিন্তু আফগানিস্তানের অন্যান্য প্রান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নিলেও ন্যাটো মিত্র দেশগুলির সেনা এখনও রয়েছে কাবুল বিমানবন্দরে। কার্যত কিছু আফগান শরণার্থী এবং নিজেদের দেশের নাগরিকদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য রেসকিউ মিশন চালাচ্ছে তারা। একইভাবে প্রায় ছহাজারের বেশি মার্কিন সেনাও রয়েছে কাবুল বিমানবন্দরে। ইতিমধ্যেই তাদের তত্ত্বাবধানে শুরু হয়ে গিয়েছে উদ্ধার কার্য।
এবার মার্কিন সৈন্যের এই অবস্থান নিয়েই আমেরিকাকে কড়া হুঁশিয়ারি জারি করল তালিবান। তারা পরিষ্কার জানিয়েছে ৩১ আগস্টের মধ্যে সেনা সরাতে হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে, নাহলে ফলাফলের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। জি সেভেনের অন্তর্ভুক্ত দেশ গুলি আরো কিছুদিন আফগানিস্তানে সেনা বাহিনী রাখার পক্ষে সাওয়াল করে আসছে। এমনকি ব্রিটেনে চায় আরও বেশ কিছুদিন আফগানিস্তানে থাক ব্রিটিশ সেনা। সেই সূত্র ধরে আগামী দিনে জি সেভেন বৈঠকে এই প্রসঙ্গ উত্থাপনও করবে তারা। ব্রিটিশ প্রেসিডেন্ট বরিস জনসনও জানিয়েছেন, তিনি এবিষয়ে অনুরোধ করবেন আমেরিকাকে।
এই মুহূর্তে কি করবেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন। যদিও আমেরিকা আগেই জানিয়েছিল ১১ সেপ্টেম্বরের মধ্যে আফগানিস্তান থেকে সমস্ত সৈন্য সরিয়ে নেবে তারা কিন্তু পরে আরও বাড়ানো হয়। প্রসঙ্গত বাইডেন এও জানিয়েছিলেন, প্রয়োজনে ৩১ আগস্টের পরেও কাবুলে থাকতে পারে মার্কিন সেনা, সে নিয়ে ভাবনা চিন্তা করবেন তারা। কিন্তু তালিবানের এই হুমকির পর এখন কোন পথে হাঁটবেন বাইডেন সেটাই দেখার।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি সেনা না সরায় তাহলে তালেবানের সঙ্গে সরাসরি ঝামেলায় জড়াতে হতে পারে তাদের। প্রসঙ্গত বাইডেন বলেছেন ৩১ আগস্ট এর মধ্যেই রেসকিউ মিশন পূর্ণ করার চেষ্টা করবে মার্কিন সেনা। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে সময়সীমা বাড়ানো যে তার পক্ষে যথেষ্ট কঠিন তা বলাই বাহুল্য।