বাংলা হান্ট ডেস্ক: “ভুতুড়ে” বিদ্যুৎ বিলের প্রসঙ্গ আমরা প্রায়শই পেয়ে থাকি খবরের শিরোনামে। যেখানে লক্ষ লক্ষ টাকার বিল হাতে পেয়ে রীতিমতো ঘুম ছুটে যায় সাধারণ মানুষের। এমনকি, কখনও কখনও বাড়িতেও এমন বিল আসার ঘটনা ঘটে। তবে, বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা আপনাদের কাছে এমন একটি ঘটনা জানাবো যেখানে বিলের পরিমান লাখের গন্ডি ছাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছে কয়েক কোটিতে।
হ্যাঁ, প্রথমে শুনে অবাক হয়ে গেলেও এবারে সাড়ে ১১ কোটি টাকার বিদ্যুৎ বিল পেয়ে চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গেল এক পঞ্চায়েত প্রধানের। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, কোটি কোটি টাকার ওই বিলটি এসেছে পঞ্চায়েত অফিসে। এমনকি, দ্রুততার সাথে ওই বিপুল অঙ্কের টাকা মেটানোর কথা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে।
কোথায় ঘটেছে এই ঘটনা: এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে তেলেঙ্গানার (Telangana) কামারেড্ডি জেলায়। বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, ওই জেলার কোঠাপল্লি গ্রাম পঞ্চায়েতে এই বিরাট অঙ্কের বিদ্যুৎ বিলটি এসেছে। এমতাবস্থায় পঞ্চায়েত সূত্রে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই এই বিলের পরিমান পৌঁছে যায় ১১ কোটি ৪১ লক্ষ টাকায়।
এদিকে, স্বাভাবিকভাবেই বিদ্যুৎ বিলের এই বিপুল টাকা কিভাবে মেটানো হবে তা ভেবেই চিন্তিত হয়ে পড়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান। এমনকি, গোটা পঞ্চায়েত অফিসই রীতিমতো স্তম্ভিত এই ঘটনায়। তবে অভিযোগ উঠছে যে, বিদ্যুৎ দফতরের গাফিলতির কারণেই এহেন বিদ্যুৎ বিল এসেছে। এদিকে, বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরাও এক মাসের এই বিল দেখে অবাক হয়ে যান।
যদিও, বিদ্যুৎ দফতরের এক আধিকারিক এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন যে, কিভাবে এই পরিমান বিল এল তা অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে। তবে, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে, পঞ্চায়েত অফিসের মিটার রিডিং পরীক্ষা করার পর কোনো ত্রুটি মিললে সেক্ষেত্রে নতুন বিল পাঠানো হবে বলেও জানিয়েছে বিদ্যুৎ দফতর। তবে, সামগ্রিকভাবে এই ঘটনার প্রসঙ্গ প্রকাশ্যে আসতেই এটি সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।