কাঞ্চন এখন অতীত! ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে কাকে কেক খাওয়াচ্ছেন শ্রীময়ী? শোরগোল নেটপাড়ায়

বাংলা হান্ট ডেস্ক : আজকাল কাঞ্চন মল্লিক (Kanchan Mallick) এবং শ্রীময়ী চট্টরাজ (Sreemoyee Chattoraj) সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) নানান বিষয় নিয়েই চর্চায় থাকেন। অভিনেত্রী শ্রীময়ী চট্টরাজ সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর একাধিক ছবি নিয়ে বিতর্ক হতেই থাকে। এবারে অভিনেত্রী এমন একটি ছবি পোস্ট করলেন, যা দেখে কেওই চোখ সরাতে পারছেন না।

কাঞ্চন মল্লিক ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে জয় লাভ করে ছিলেন। তখন থেকেই তিনি চর্চায় রয়েছেন। কারণ সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ তুলে ছিল তাঁর স্ত্রি পিঙ্কি। এখনও পর্যন্ত তাঁর ডিভোর্সের কেস চলছে। তাঁর উপর হেনস্থা করার অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁর স্ত্রী পিঙ্কি বন্দ্যোপাধ্যায় (Pinky Banerjee)।

যদিও এই হেনস্থার অভিযোগটা খালি কাঞ্চনের উপর নয়, এটি শ্রীময়ীর উপরও চাপানো হয়েছে। কিন্তু তাঁরা এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তাছাড়া গত বছর তাঁদেরকে একসাথে ছবিতেও দেখা গিয়েছিলো। অর্থাৎ কাঞ্চন এবং শ্রীময়ীকে একসাথে দেখা গিয়েছিলো। এছাড়াও তাঁদের অনেক জায়গাতেও একসাথে দেখা গেছে। যেমন ধরুন, জন্মদিনের পার্টি (Birthday Party), ফিল্মি পার্টি (Filmy Party), তৃণমূলের মঞ্চে একসাথে হাজির থাকতেও তাঁদের দেখা গেছে।

তাই এই বিষয়ে নেটিজেনেরাও থেমে থাকেনি। আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের ‘শোভন-বৈশাখী লাইট’ বলা হয়ে থাকে। যদিও এবারে অভিনেত্রী শ্রীময়ীর যে ছবিটি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, সেটিতে তাকে একজনকে মুখে করে কেক খাওয়াতে দেখা গেছে।

kan and sree

 

শ্রীময়ী কাকে মুখে করে কেক খাওয়াচ্ছিলেন?

শ্রীময়ী মুখে করে কেক খাওয়াচ্ছিলেন এক মহিলাকে। সেই ছবির ক্যাপশনে লেখা ছিল ‘Calling unconditional’ সাথে আবার লাল হার্ট ইমোজি। যা নিয়ে নেটিজেনরা ট্রোল করতে ছাড়েননি তাঁকে। একজন কমেন্টে লিখেছেন, ‘হে প্রভু! এসব কী হচ্ছে’। আরেকজন আবার বলেছেন, ‘কাঞ্চনকে দিয়ে আর বোধ হয় পোষাচ্ছে না’।

যদিও লোকের বলা নিয়ে শ্রীময়ী তেমন মাথা ঘামান না। তবে এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, ‘কাঞ্চন দা-র সাথে আমার বন্ধুত্ব অনেক দিনের। বলতেই পারেন প্রায় ১০-১২ বছরের বন্ধুত্ব। তাঁর মা মারা যাওয়ার পর তিনি ডিপ্রেশনে ভুগছিলেন। সেই সময় তাঁর পাশে থাকাটা আমি শ্রেয় বলে মনে করেছি। আমি তাঁকে একা ঘরে বসে কাঁদতেও দেখেছি। তাই আজও আমি তাঁর পাশে এবং সাথে আছি। তাই কাঞ্চন দা-র জীবনে কাঁধটা আমিই বলতে পারেন। কারণ একটা মানুষের বেঁচে থাকার জন্য একটা কাঁধের প্রয়োজন হয়। তাই বিপদের সময় হাতটা আমিই ধরেছিলাম’।

সম্পর্কিত খবর