বাংলাহান্ট ডেস্কঃ প্রায় ৮ বছর আগে পিংলা গ্রামের শ্রীমন্ত মাইতির সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন সবং থানার কাঁটাখালি গ্রামে মৌসুমী মাইতি। ২৭ বছরের মৌসুমী এবং শ্রীমন্তের রয়েছে একটি ৫ বছরের পুত্রসন্তানও। কিন্তু বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দেওরের সঙ্গে। যার জেরেই আত্মঘাতী হলেন মৌসুমী। শ্বশুরবাড়ির অভিযোগের উপর ভিত্তি করে গ্রেফতার করা হয় দেওরকে।
ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা থানার জামনা এলাকার। শ্রীমন্ত মাইতি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রি। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী, পুত্র, বাবা-মা এবং ভাই নীলাদ্রি মাইতি থাকতেন। ভাই নীলাদ্রি আবার হাওড়া জেলার বাগনানে থাকত জরির কাজ করার কারণে। তবে মাঝে মধ্যে বাড়িতে আসতেন।
সূত্রের খবর, দেওর বউদির সম্পর্কের কথা এলাকার অনেকেই জানতেন। এমনকি মৌসুমীর বাপের বাড়ির লোকজনও জানতেন বলে শোনা গিয়েছে। ৪ বছর ধরে দেওরের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হওয়ার পর, মৌসুমী চেয়েছিলেন ছেলেকে নিয়ে দেওরের সঙ্গে ঘর ছাড়তে। কিন্তু বউদির সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেও সম্ভবত লোক লজ্জার ভয়ে পালাতে চায়নি দেওয় নীলাদ্রি। যার জেরেই মৌসুমী আত্মঘাতী হয় বলে প্রাথমিক তদন্ত থেকে জানা গিয়েছে।
ঘটনার দিন, বাড়ির কাছেই রাজমিস্ত্রীর কাছে সেরে দুপুর দেড়টা নাগাদ ভাত খাওয়ার জন্য বাড়ি ফিরে স্ত্রীকে অনেক ডাকাডাকি করেও স্ত্রীয়ের কোন সাড়া শব্দ পায় না শ্রীমন্ত। তখন পেছনের দিকে গিয়ে দেখেন, গলায় দড়ি দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে ঝুলছে মৌসুমী। এই অবস্থা দেখে চিৎকার করে লোকজন জড়ো করে শ্রীমন্ত।
পিংলা থানায় খবর দেওয়া হলে শ্রীমন্ত এবং নীলাদ্রিকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। কিন্তু তখন পরকীয়ার কথা প্রকাশ্যে আসেনি। তারপর মঙ্গলবার গ্রামের সালিশি সভায় নীলাদ্রিকে চেপে ধরতেই সে পরকীয়ার কথা স্বীকার করে। এরপর নীলাদ্রিকে পিংলা থানার পুলিশ গ্রেফতার এবং তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের করে। কিন্তু নিজের দিকে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে নীলাদ্রি।