বাংলাহান্ট ডেস্ক : দুপাশে ঘন সবুজ গাছের সারি আর মাঝখান দিয়ে চলে গিয়েছে নীল রংয়ের পিচের রাস্তা। এমন দৃশ্য দেখার জন্য বিদেশে যাওয়ার দরকার নেই। এই দুর্দান্ত সুন্দর রাস্তার দেখা মিলবে বাংলাতেই। বলা বাহুল্য, দেশের মধ্যেও প্রথমবার এমন অভিনব রাস্তা তৈরী হল। পিচের সঙ্গে প্লাস্টিক মিশিয়ে তৈরি এই রাস্তা অবশ্য ইতিমধ্যেই নজর কেড়েছে বঙ্গবাসীর।
জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান (East Burdwan) জেলার দক্ষিণ সদর মহকুমার রায়না-২ ব্লকের বুকে একলক্ষ্মী টোল থেকে রাউতারা ব্রিজ পর্যন্ত এই রাস্তা বিস্তৃত হয়েছে। রাজ্যের পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার এই রাস্তার উদ্বোধন করেন। ৩২০ মিটার দীর্ঘ এই রাস্তাটি তৈরি করার জন্য খরচ হয়েছে ২২ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা। খণ্ডঘোষের এই রাস্তার বিশেষত্ব হল পিচের উপর নীল কোটিং দেওয়া হয়েছে।
সূত্রের খবর, সাধারণ রাস্তার থেকে দুই বা তিনগুণ বেশি সময় পর্যন্ত টিকবে প্লাস্টিকের এই রাস্তা। তীব্র গরমে কালো পিচের রাস্তা শুধু যে ফেটে যায় তাই নয়, এমনকি পিচও গলে যায়। এক্ষেত্রে সেই সুযোগ কম। জল জমার প্রবণতাও থাকবে না। দূষণও কম হবে। প্লাস্টিক থেকে দূষণ যাতে না ছড়ায়, সেই কারণেই এই ধরনের বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
বলা বাহুল্য, রাজ্যজুড়েই প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহার করে রাস্তা গড়া হচ্ছে। পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপবাবু বলেন, “এর ফলে রাস্তা আরও মজবুত হচ্ছে। দ্রুত রাস্তা খারাপ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। আবার পরিবেশের ক্ষতিকারক প্লাস্টিক ব্যবহার করার ফলে তা পরিবেশের ক্ষতিসাধন করতে পারছে না। পিচের সঙ্গে ১০ শতাংশ হারে বর্জ্য প্লাস্টিকের টুকরো ব্যবহার করে রাস্তা গড়া হচ্ছে।”
এদিকে, জেলা পরিষদের সভাধিপতি শম্পা ধাড়া বলেন, “নীল রাস্তার খরচ একটু বেশি। পাশাপাশি, এই রাস্তার উপরের স্তরের প্রলেপ দিতে পিচের সঙ্গে প্লাস্টিক মেশানো হয়। অন্য প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে রাস্তার ক্ষেত্রে পিচ, কুচি পাথর, প্লাস্টিক বর্জ্য মিশ্রিত করে রাস্তায় দেওয়া হয়। প্লাস্টিক বর্জ্য দিয়ে নীল রাস্তা আমাদের রাজ্য কেন দেশেও সম্ভবত প্রথম।”