বাংলাহান্ট ডেস্ক : রুক্ষ মাটির জায়গা পুরুলিয়া (Purulia)। বাংলার পর্যটন শিল্পের মানচিত্রে পুরুলিয়া একটা বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে বরাবরই। এই পুরুলিয়ার রুক্ষ সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য বহুদূর দূরান্ত থেকে পর্যটক আসেন। এবার পুরুলিয়ার স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকদের জন্য দারুন খবর সামনে আসছে। একটি বিমানবন্দর (Airport) তৈরি হতে চলেছে পুরুলিয়ায়।
রাজ্য বিভিন্ন জায়গায় বিমানবন্দর তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে। সেই পরিকল্পনামাফিক কাজও চলছে বিভিন্ন জায়গায়। দীর্ঘ জটিলতার পর কোচবিহারের এই বিমানবন্দরে যাত্রী পরিষেবা শুরু হয়েছে। এবার কোচবিহারবাসীর মত নিজের এলাকা থেকেই বিমানে ওঠা নামার সুবিধা পেতে চলেছেন পুরুলিয়াবাসী। জানা গিয়েছে, খুব শীঘ্রই নতুন বিমানবন্দর তৈরি হতে চলেছে পুরুলিয়ায়।
পুরুলিয়ায় একটি এয়ারস্ট্রিপ তৈরি করা হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন। এর মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল আপতকালীন অবস্থায় সেখানে যাতে বিমান ওঠানামা করতে পারে। কিন্তু অবহেলায় এতদিন এই জায়গা পরিত্যক্ত ছিল। ব্রিটিশ আমলের এই জায়গাটিকে নতুন করে বিমানবন্দরের রূপ দেওয়ার কথা ভাবছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই তার প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে জোরকদমে।
মনে করা হচ্ছে এই জায়গায় বিমানবন্দর তৈরি করা হলে পুরুলিয়ার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। জানা যাচ্ছে নতুন বিমানবন্দর তৈরি করার জন্য ২৫০ থেকে ৩০০কোটি টাকা বরাদ্দ করা হবে। এই টাকা বিনিয়োগ করবে রাজ্য সরকার। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ এই বিমানবন্দর তৈরীর কাজ করবে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এই এয়ারস্ট্রিপ ও সংলগ্ন এলাকা রাজ্য সরকারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল আশির দশকে।
সূত্রের খবর, এই বিমানবন্দরটি ১৭২২ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩৫০ মিটার প্রস্থযুক্ত হবে। পুরুলিয়া শহর থেকে এই বিমানবন্দর ৯ কিলোমিটার দূরে। যারা অযোধ্যা পাহাড় দেখতে যাবেন তাদের জন্য এই বিমানবন্দের খুবই উপকারী হবে। জানা যাচ্ছে সব ঠিকঠাক থাকলে বিমানবন্দর ২০২৫ সালের মধ্যে খুলে দেওয়া হবে। আর এই নতুন বিমানবন্দরটি শুধুমাত্র যাতায়াতের ক্ষেত্রে লাভদায়ক হবে তাই নয়, বঙ্গের মুকুটে নতুন পালকও যুক্ত হবে।