বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা (corona virus) নিয়ে সারা বিশ্ব তোলপাড়। আতঙ্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না। এই ভাইরাসের জেরে অনেক মানুষ মারা গেছে। আবার অনেকে আক্রান্ত। হাসপাতালের (hospital) প্রয়োজনীয় পরিষেবা অমিল হওয়ার অভিযোগে রণক্ষেত্র শ্রীনগর (Srinagar)। দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ উঠছিল অপর্যাপ্ত পরিষেবার। করোনা-বিপদের দিনে সরকারি নির্দেশ অমান্য করে এখনও পর্যন্ত কাজে যোগ দেননি দুইজন চিকিৎসক। সব মিলিয়ে ক্ষোভ বাড়ছিলই।
এদিন শনিবার হাসপাতালে লম্বা লাইন সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিলেন কর্তৃপক্ষ। তার মাঝেই দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়েও সঠিক পরিষেবা না পেয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় রোগীদের পরিজনরা। কর্তৃপক্ষের সাথে শুরু হয় বচসা। ঝামেলা চরম পর্যায়ে পৌঁছোতেই স্থানীয়রা ভাঙচুর শুরু করে হাসপাতালে। সেই সুযোগেই ওই হাসপাতালের কোয়ারেন্টাইনে (quarantine) থাকা ২৬ জন দরজা-জানলা ভেঙে পালিয়ে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কাশ্মীরের ছত্রবাল (Chhatrawal in Kashmir) এলাকার এক বাসিন্দার শরীরে করোনা ভাইরাসের সন্ধান পাওয়ার পরেই তার সংস্পর্শে থাকা ২৬ জনকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়। আইসোলেশন ওয়ার্ডে কোয়ারেন্টাইনে ছিল তারা। শারীরিক পরীক্ষা হলেও এখনও রিপোর্ট হাতে আসেনি। এর মাঝেই শনিবার হাসপাতালে অব্যবস্থার অভিযোগে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন রোগী ও তাঁদের আত্মীয়রা। হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁদের সরাতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে বচসা বেঁধে যায়। আর তারপরই শুরু হয় গন্ডগোল। উত্তেজিত জনতা হাসপাতালে ভাঙচুর চালাতে থাকে। সেই সুযোগে কোয়ারেন্টাইন থাকা ২৬ জন হাসপাতালের দরজা ও জানলা ভেঙে বাইরে পালিয়ে যায়।
শ্রীনগরের জওহরলাল নেহেরু মেমোরিয়াল হাসপাতালের (Jawaharlal Nehru Memorial Hospital)। কাশ্মীরের ছত্রবাল এলাকার এক বাসিন্দা করোনায় আক্রান্ত হন। তাঁর সংস্পর্শে এসেছিলেন ২৬ জন। তাঁদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এখনও আসেনি। এই ২৬ জনকেই হাসপাতালে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। পালিয়ে যাওয়া ওই ২৬ জনকে পরে খুঁজে আনে পুলিশ। তাঁদের আবার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।