বাংলাহান্ট ডেস্ক : শিক্ষা, এমন একটা শব্দ যার অন্তরে লুকিয়ে আছে সমৃদ্ধ জীবন যাপনের রহস্য। এই শিক্ষাই পারে, দেশের করুণ হাল থেকে মুক্তি দিতে। অন্যদিকে এক অদ্ভুত ছবি ধরা পড়ে গেল শিলিগুড়ির বাগডোগরায় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর বিদ্যালয়ে। স্কুলের 35% পড়ুয়া উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ হওয়ার ফলে সরাসরি নেমে পড়ে বিক্ষোভের পথে। হাতে তৃণমূলের পতাকা এবং মুখে স্লোগান,”ইশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর হায় হায়”, “শিক্ষাব্যবস্থা হায় হায়”!
শনিবার দুপুর হতেই তারা একচ্ছত্র হয় স্কুলের গেটের সামনে বসে ধর্না দেওয়া শুরু করে। পড়ুয়াদের মতে তাদের পাস করাতেই হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে বিক্ষোভের খবর আসতেই ঘটনাস্থলে চলে আসে বাগডোগরা থানার পুলিশ এবং পুলিশকর্মীরা পড়ুয়াদের কে ভালোভাবে বুঝিয়ে এবং তাদের সাথে কথা বলে তাদের কে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়।
এমন ঘটনা সম্পর্কে অবগত ছিলেন না কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের তরফে বলা হয়, যে পড়ুয়ারা বোর্ডে ফেল করেছেন সে ক্ষেত্রে তাদের কিছু করার নেই, যদি ছাত্র দের মনে হয় নম্বর যথাযথ তারা পায়নি, তবে খাতা রিভিউ করার ব্যবস্থা সরকার রেখেছে।
তবে এমন ঘটনা দেখে বিরোধীরা মোটেও চুপ করে থাকেন নি, তৃণমূলকে খোটা দিয়ে কথা বলেছেন তারা। এমতাবস্থায় দার্জিলিং জেলা তৃণমূলের সভাপতি পাপিয়া ঘোষ বলেন যে, অত্যাধিক খারাপ এই ঘটনা। ছোট বাচ্চারা অবুঝের মতো ঢুকে পড়ছে রাজনীতিতে, যেহেতু নির্বাচন সামনে তাই বিরোধীদের সমর্থন পেতে তাদের কোনো অসুবিধা হয় নি এবং পাপিয়া দৃঢ় বিশ্বাস করেন, এমন বুদ্ধি বা শলাপরামর্শ কেবল বিজেপিই দিতে পারে।
এই প্রেক্ষিতে বিজেপির নেতৃত্ব থেকে আসা খবর অনুযায়ী, মাটিগাড়া নকশালবাড়ি বিধায়ক আনন্দময় বর্মন বলেন, ছাত্ররা কি করছে সে বিষয়ে তারা কিছু বলতে পারবেন না। তবে বিজেপি এই ধরনের ছাত্র দের নিয়ে রাজনীতি করে না এবং ঝান্ডা রাজনীতি তাদের মোটেও পছন্দ নয়।
পুরো বিষয়টা নিয়ে পরবর্তীকালে আরো গভীর অনুসন্ধান করা যেতে পারে। তবে সবকিছুর ঊর্ধ্বে প্রশ্ন সেই এক জায়গাতেই, দেশের যুব সমাজ এই পরিস্থিতির সম্মুখীন দেশের ভবিষ্যত কতটা উন্নত হতে পারে?