বাংলাহান্ট ডেস্ক : দূর থেকে মনে হবে যেন সত্যিকারের টাইটানিক। বিশাল উচ্চতার টাইটানিক হাউস দেখে পথ চলতি মানুষ একটিবারের জন্যও থেমে যাবেন। টাইটানিক ছবির সেই বিশালাকার জাহাজ আমাদের এখনো সবার মনে গেঁথে আছে। মিন্টু রায় নামের এক কৃষক সেই ছবি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে একটু একটু করে গড়ে তুলছেন তার স্বপ্নের টাইটানিক বাড়ি।
মিন্টু রায় শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমার ফাঁসিদেওয়ার বাসিন্দা। তিনি পেশায় কৃষক। তিনি নিজের জমিতে তৈরি করছেন তার স্বপ্নের জাহাজ বাড়ি। স্থানীয় সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, এই বাড়িটি তৈরীর কাজ চলছে গত বারো বছর ধরে। আর্থিক অসঙ্গতির কারণে এখনো বাড়ির কাজ সম্পন্ন হয়নি। মিন্টুর কথায় তিনি চেষ্টা চালাচ্ছেন দ্রুত এই বাড়ির কাজ সম্পন্ন করার।
আগামী এক বছরের মধ্যে টাইটানিকের (Titanic) আদলে তৈরি এই বাড়ির কাজ সম্পন্ন করে তার ছাদে রেস্তোরাঁ খোলার পরিকল্পনা রয়েছে মিন্টুর। মিন্টু কর্মসূত্রে বহুদিন ছিলেন কলকাতা ও মুম্বাইতে। জাহাজের নকশার বাড়ি তার প্রথম চোখে পড়ে মুম্বাইতে। তখন থেকে তার স্বপ্ন তিনি নিজেও একটি জাহাজের আদলে বাড়ি তৈরি করবেন। কিন্তু তিনি একজন সাধারণ কৃষক। বিশাল এই বাড়ি তৈরির টাকা আসবে কোথা থেকে?
জমিতে সবজি ফলিয়ে তা বাজারে বিক্রি করে যেটুকু আয় হয় তার কিছুটা দিয়ে সংসার চালানো ও তার বাকিটা দিয়ে বাড়ি তৈরি করার জন্য খরচা, এই হচ্ছে মিন্টুর গত ১২ বছরের রুটিন। ৩৫ ফুট উচ্চতার এই জাহাজ বাড়ি তৈরীর কাজ শেষের পথে। আর কিছুদিনের মধ্যেই সম্পন্ন হবে এই জাহাজ বাড়ি। জানা গিয়েছে রাজমিস্ত্রিদের সাথে বাড়ি তৈরীর কাজে সহায়তা করেন মিন্টুও।
তবে মিন্টুর আক্ষেপ তার বাবা মা যদি বেঁচে থাকতেন তাহলে এই বাড়ি দেখে যেতে পারতেন। মিন্টুর কথায়, “একবার জাহাজের মতো পুজো প্যান্ডেল দেখেছিলাম। তারপর জাহাজের মতো বাড়ি দেখে আমার ইচ্ছা হয় সেরকম বাড়ি তৈরি করার। বাড়ি তৈরির জন্য এখন অব্দি ১৫ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বাড়ির ছাদে ইচ্ছে রয়েছে রেস্তোরাঁ করার।”