তাবড় প্রভাবশালীর নাম মুখে আনলেন না ইডির আইনজীবী! শুধু ‘কেস ডায়েরি’ দেখার অনুরোধ বিচারককে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (Enforcement Directorate) আইনজীবী আজ নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডের সুনানি চলাকালীন বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন আদালতে (High Court)। এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট আদালতে দাবি করেছে এই দুর্নীতির সাথে জড়িত তাবড় তাবড় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা। আইনজীবীর পক্ষ থেকে বিচারককে বলা হয় কেস ডায়রি দেখলে সেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়ে যাবে। প্রকাশ্য আদালতে তাদের নাম বলা যাবে না।

ব্যাঙ্কশাল কোর্টে শুনানি চলার সময় আজ ইডির পক্ষ থেকে বলা হয়, “কেস ডায়রি দেখুন। ভবিষ্যতে কি হতে চলেছে তা বুঝতে পারবেন। কেস ডায়রিতে প্রভাবশালীদের নাম আছে। প্রকাশ্য আদালতে সেই নামগুলো বলতে পারছিনা।” আইনজীবীর এই বক্তব্যের পর বিচারককে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেস ডায়রি দেখানো হয়। ইডি বলে, “এখনও পর্যন্ত ২০ কোটির সম্পত্তি উদ্ধার হয়েছে বাৎসরিক ছয় লক্ষ টাকা বেতনের ব্যক্তির কাছ থেকে।”

প্রসঙ্গত এখনো পর্যন্ত নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে যতজন গ্রেপ্তার হয়েছে ততজনের সাথে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নাম উঠে এসেছে। এর আগেও বিভিন্ন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা নিয়োগ-দুর্নীতি কাণ্ডে প্রভাবশালীদের ভূমিকা নিয়ে সরব হয়েছে। আদালতে বুধবার শুনানি চলার সময় ইডির পক্ষ থেকে সেই বিষয়টি আরো একবার তুলে ধরা হয়। প্রকাশ্য আদালতে নাম বলতে না চাইলেও, ইডির আইনজীবী কেস ডায়রিতে সেই নাম দেখার অনুরোধ জানান বিচারককে।

ED enforcement directorate 770x433 1

নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে ধৃত শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের শুনানি চলাকালীন আজ আদালতে ইডির আইনজীবীর মন্তব্যকে ঘিরে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত বিদ্যুৎ দফতরের কর্মী শান্তনুর কুড়ি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গেছে। বাবার মৃত্যুর পর পাওয়া বিদ্যুৎ দপ্তরের চাকরিতে শান্তনুর বার্ষিক বেতন ছিল ছয় লক্ষ টাকা। একজন সামান্য বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মী হয় কিভাবে শান্তনু এত টাকার মালিক হলেন সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে ইডি।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর