বুধবার দেশের করোনার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী হওয়া নিয়ে সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ( Mamata Banerjee ) সাথে বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ( Narendra Modi ) । তবে সেই বৈঠকে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত না থেকে গোপীবল্লভপুরের নির্বাচনী সভা থেকে বাংলাকে করোনা টিকা না দেওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন। তবে সাথে তার তুরন্ত জবাব দিল প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়।
নয়া দিল্লির সাউথ ব্লক থেকে জানানো হয়েছে বাংলায় প্রায় ২২ লক্ষ কোভিড টিকা ( Covid Vaccine ) মজুত রয়েছে। এ প্রসঙ্গে সচিবালয়ের মুখপাত্র বিস্তারিত ভাবে জানান, ‘ ১৭ মার্চ সকাল ৮ টা পর্যন্ত বাংলাকে মোট ৫২ লক্ষ ৯০ হাজার কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন টিকা সরবরাহ করা হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যে এ রাজ্য মাত্র ৩০ লক্ষ ৮৯ হাজার ব্যবহার করেছে। অর্থাৎ বাংলার হাতে এই মুহূর্তে ২০ লক্ষ ১ হাজার টিকা মজুত রয়েছে’।
ভোটমুখী বাংলাকে নিয়ে যে কেন্দ্র যথেষ্ট তৎপর। তা দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয়ের তুরন্ত জবাব থেকেই অনুমান করা যায়। অর্থাৎ গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন নির্বাচনী প্রচারে ভ্যাকসিন না পাওয়া নিয়ে দাবি করে আসা মমতার এই অভিযোগ একেবারেই নস্যাৎ করল কেন্দ্র।
উল্লেখ্য, এদিন গোপীবল্লভপুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন ভোটের আগেই বিজেপি ( BJP ) মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেয়। এ প্রসঙ্গে তিনি বিহার নির্বাচনের কথা টেনে এনে মোদী সরকারকে একহাত নিয়েছিলেন। তিনি বলেন বিহার নির্বাচনী প্রচারে বিনামূল্যে করোনা টিকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। তবে তা এখনও দেওয়া হয়নি।
বস্তুত আজ মুখ্যমন্ত্রীর এই সব অভিযোগে জল ঢালতে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পক্ষ থেকে বিস্তারিত ভাবে বাংলার টিকাকরনের বাস্তব হালহকিকত তুলে ধরা হয়। উল্লেখ্য, কোনও রাজ্যকেই সেরাম ( Serum ) বা ভারত বায়োটেকের ( Bharat Biotech ) কাছ থেকে ভ্যাকসিন ( Vaccine ) কেনার অনুমতি দেয়নি কেন্দ্র। এ নিয়ে কেন্দ্রের উপর নির্ভর থকার কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, ‘তেমন টা হলে আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল রাজ্যগুলি আগেভাগে টিকা কিনে মজুত রাখতে পারে। যার ফলে টিকা বণ্টনে ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব হবে না।’