বাংলাহান্ট ডেস্কঃ বিধানসভা নির্বাচনের পূর্বের ঠিক উলটো ঘটনা ঘটতে দেখা যাচ্ছে বাংলার রাজনৈতিক মহলে। পূর্বে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়ে গেলেও, বর্তমানে সেই গেরুয়া শিবির ছড়েই তৃণমূলে ফিরে যাওয়ার লাইন লেগে গিয়েছে। সেই তালিকায় নাম লিখিয়ে সম্প্রতি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন বাবুল সুপ্রিয়। এবার জল্পনা বাড়িয়ে দলীয় বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন বিজেপি বিধায়ক অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায় (Hiran Chatterjee)।
দল ছাড়ার পূর্বে বাবুল সুপ্রিয় এবং দিলীপ ঘোষের মধ্যেকার তিক্ততার সম্পর্কের কথা কারোরই অজানা ছিল না। এমনকি দল ছাড়ার পরও সেই বিষয়কেই কিছুটা দায়ী করেছে ওয়াকিবহল মহল। তবে এবার দিলীপ ঘোষের সঙ্গে হিরণের মধ্যেকার সম্পর্ক ভালো না থাকার কারণে, তাঁরও দলবদলের হাওয়া উঠেছে রাজনীতির অন্দরে।
শুক্রবার প্রথমবার বিধানসভায় বিজেপির পরিষদীয় দলের বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। আর এই বৈঠকে অংশ নিয়েই, কে কোথায় কিভাবে কাজ করবেন, কোন কৌশলে এগোবে বিজেপি- সবকিছু বাতলে দিয়েছেন তিনি।
কিন্তু এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন গেরুয়া শিবিরের ৬ বিধায়ক। যার মধ্যে ছিলেন অগ্নিমিত্রা পাল, শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, নীরজ জিম্বা, হিরণ চট্টোপাধ্যায়, সুকুমার রায় এবং দিবাকর ঘরামি। এই বৈঠকে হিরণের অনুপস্থিতি তাঁর দলবদলের জল্পনাকে আরও উস্কে দিয়েছে।
এবিষয়ে বিধানসভায় বিজেপির মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গা জানিয়েছেন, ‘চিকিৎসার কারণে দক্ষিণ ভারতে রয়েছেন হিরণ, পরিষদীয় দলকে এটা জানিয়েছেন তিনি। তাই হিরণকে নিয়ে জল্পনার কোন মানে নেই। এদিনের বৈঠকে যারা অনুপস্থিত ছিলেন, তাঁদের নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। বাকিরা শারীরিক অসুস্থতার কথা আগে থাকতেই জানিয়েছিলেন। এদিন নতুন রাজ্য সভাপতিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়’।