মহিলাদের গায়ে থাকে না কোন কাপড়ই! ভারতে অবস্থিত এই গ্রামের কাহিনী শুনলে হাঁ হয়ে যাবেন

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বর্তমানে আমরা সভ্য সমাজে বসবাস করি। আজ থেকে কয়েক কোটি বছর আগে যে মানব সভ্যতার সৃষ্টি হয়েছিল তা আজ পৌঁছেছে অকল্পনীয় উচ্চতায়। বর্তমানে মানুষ পাড়ি দিয়েছে ভিন্ন গ্রহে। কিন্তু আমাদের দেশে এখনো এমন কিছু জায়গা রয়েছে যেখানে আমাদের প্রাচীন দিনের রীতিনীতি অনুসরণ করা হয়।

কিন্তু হিমাচল প্রদেশের (Himachal Pradesh) মনিকর্ণ উপত্যকার পিনি গ্রামের একটি রীতি শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠবে। নির্দিষ্ট কিছু দিন এই গ্রামের মহিলাদের বসবাস করতে হয় কোনও রকম কাপড় ছাড়াই।প্রাচীন রীতি অনুযায়ী বছরের নির্দিষ্ট পাঁচটি দিন এই গ্রামের মহিলারা কোনও রকম বস্ত্র পরতে পারবেন না এবং বাড়ির বাইরে পা দিতে পারবেন না।

নিজেদের ইচ্ছায় এখনো এই গ্রামের কিছু মহিলা এই রীতি অনুসরণ করেন। এই গ্রামের বেশ কিছু মহিলা শ্রাবণ মাসের নির্দিষ্ট ৫ দিন কোনো রকম কাপড় পরেন না। এই ধরনের কঠোর নিয়ম চালু রয়েছে পুরুষদের জন্যও। সেই নিয়ম অনুসরণ করতে হয় তাদের। নির্দিষ্ট এই সময় পুরুষরা অ্যালকোহল বা সেই জাতীয় কোনও কিছু গ্রহণ করতে পারবেন না।

লোককথা অনুযায়ী, এই নিয়ম যদি কোনও মহিলা পালন না করেন তাহলে কিছুদিনের মধ্যে তিনি দুঃসংবাদ পাবেন। নির্দিষ্ট এই সময়টাতে গোটা গ্রামের স্বামী-স্ত্রীরা একে অপরের সাথে কথা বলেন না। তারা একে অপরের সাথে দূরত্ব বজায় রেখে চলেন। এই সময়টাতে পুরুষদেরও বেশ কিছু নিয়ম পালন করতে হয়। এই সময় পুরুষরা অ্যালকোহল বা মাংস গ্রহণ করতে পারেন না।

woman

এমনকি এই সময় কোনও পুরুষ মহিলাদের দেখে হাসতেও পারবেন না। এই ধরনের অদ্ভুত নিয়মের পেছনে রয়েছে একটি বিশেষ কারণ। গ্রামের মানুষরা বিশ্বাস করেন, এক রাক্ষস এই গ্রামে কয়েক শতাব্দী আগে বসবাস করত। সেই রাক্ষস সুন্দর পোশাক পরা মহিলাদের তুলে নিয়ে যেত। সেই থেকেই গ্রামে পুরুষ ও মহিলাদের জন্য শ্রাবণ মাসের নির্দিষ্ট ৫ টি দিনে এই ধরনের নিয়ম প্রচলিত আছে।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর