মাধ্যমিক না দিয়েও যাদবপুরে ইঞ্জিনিয়ারিং! চিরঞ্জিতের এই কারনামা জানতেন?

বাংলা হান্ট ডেস্ক: কলকাতার নামকরা স্কুলের মধ্যে নাম আসে মিত্র ইনস্টিটিউশনের। সেখান থেকে অনেক নামীদামি গুণী তারকা বেরিয়েছেন। তেমনই একজন হলেন টলি অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তী (Chiranjeet Chakraborty)। স্কুল জীবন থেকেই ভালো ছাত্র ছিলেন তিনি। নিজের স্কুল জীবন শেষ করে ভর্তি হন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে। জয়েন্টে দুর্দান্ত ব়্যাঙ্ক করেই যাদবপুরে পড়ার সুযোগ হয় তার। আজ মাধ্যমিকের ফলাফল বেরিয়েছে। আর সেখানেই এক সংবাদমাধ্যমের সাথে কথা বলেন চিরঞ্জিত।

২ মে অর্থাৎ আজ জানা গিয়েছে মাধ্যমিকের ফলাফল। শীর্ষস্থানীয় তিন অর্থাৎ ১ম, ২য় এবং ৩য় স্থানাধিকারীরা তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে চিরঞ্জিতকে ফোন করে এক সংবাদমাধ্যম। শুরুতেই সমস্ত ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানান তিনি। এরপর বলেন, তিনি নস্টালজিক হয়ে পড়ছেন। মজা করে বলেন, “আমি তো রামচন্দ্রের যুগে বোর্ড পরীক্ষা দিয়েছি। সেই সময় মাধ্যমিক ছিল না।”

ঘটনাটি ১৯৬৭ সালের। সেসময় মাধ্যমিক হতনা, বদলে ছিল ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষা। উল্লেখ্য সেসময় ক্লাস ইলেভেনের পরীক্ষাটাই ছিল আসল বোর্ড পরীক্ষা। এরপর চিরঞ্জিত নিজের মার্কস নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, “আমি জানেন, ভালই ছিলাম পড়াশোনায়। ৬৬০ নম্বর পেয়েছিলাম ৮০০তে। ওই সময় আমাদের স্কুল মিত্র ইনস্টিটিউশনের রেকর্ড রেজ়াল্ট হয়েছিল। ওটা কেউ বিট করতে পারেনি।”

এছাড়া তিনি এও জানান যে, কিভাবে তিনি এত ভালো হয়ে ওঠেন পড়াশোনায়। সেই গল্পও বেশ ইন্টারেস্টিং। চিরঞ্জিতের রেজাল্ট ভালো করার পিছনে ছিল আরেক পড়ুয়ার হাত। আসলে হয়েছে কি, চিরঞ্জিতের বাড়ির পাশে এক পড়ুয়া থাকতেন। চিরঞ্জিতের এটাই টার্গেট ছিল যে, আছে ওই পড়ুয়ার ঘরের আলো নিভলে তবেই চিরঞ্জিত আলো নেভাবেন।

আর এই করতে গিয়ে চিরঞ্জিতের রেজাল্টও বেশ ভালো হয়ে যায়। এছাড়া চিরঞ্জিত এও বলেন যে, তার স্কুলের বন্ধুদের সাথে এখনো ভালই যোগাযোগ রয়েছে তার। তাদের সাথে যোগাযোগের জন্য রয়েছে একখানা গ্রুপ। অভিনেতা জানিয়ে দেন সেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপের নাম মিত্র আসর।

Moumita Mondal
Moumita Mondal

মৌমিতা মণ্ডল, গ্র্যাজুয়েশনের পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। বিগত ৩ বছরেরও বেশি সময় ধরে লেখালেখির সাথে যুক্ত। প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর