তুরস্কে প্রকৃতি বাঁচাতে বৃক্ষরোপনের অভিনব পরিকল্পনা,বিপরীতে বন্ধু পাকিস্তানে বিষবৃক্ষ রোপনের পরিকল্পনা!

 

বাংলা হান্ট ডেস্ক:  “এ পৃথিবীকে শিশুর বাসযোগ্য করে যাব আমি নবজাতকের কাছে এ আমার দৃঢ় অঙ্গীকার” মূলত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক পোস্টের জেরে এ কর্মসূচি পালিত হয়। ওই পোস্টে এনিস সাহিন নামের এক তুর্কি নাগরিক বলেন, মুসলিম দেশ হিসেবে আমরা ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহায় সরকারি ছুটি পাই। বৃক্ষরোপণের জন্য একটি সরকারি ছুটি হলে কেমন হয়? আসুন দেশের ৮ কোটি ২০ লাখ মানুষ একসঙ্গে ওই দিনটিতে গাছ লাগাই। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য আমরা একটি সবুজ পৃথিবী রেখে যেতে চাই। এখানে যাবতীয় চিন্তার অবসান ঘটে হয়ে যায় কাজ।

এনিস সাহিন-এর পোস্টটি ভাইরাল হয়ে পড়লে এক পর্যায়ে এটি তুর্কি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোগানের নজরে আসে। পোস্টদাতাকে ধন্যবাদ দিয়ে তিনি বলেন,- “চমত্কার একটি আইডিয়ার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শিগগিরই আমি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে বৃক্ষরোপণের জন্য একটি ছুটির দিন ঘোষণা করব।”

IMG 20191113 211441

প্রতি বছর ১১ নভেম্বরকে জাতীয় দিবস ঘোষণা করেন তিনি। এবারের কর্মসূচির অংশ হিসেবে দেশ জুড়ে এক কোটি ৩৭ লাখ ৪৭ হাজার ৭০৮টি গাছের চারা বিতরণ করা হয়। এদিকে তুরস্কের অপর বন্ধু পাকিস্তান যার সাথে তার হৃদয়ের সম্পর্ক। সে কিনা আতংবাদি হামলা নিয়ে ব্যস্ত। বোম বানাতে ব্যস্ত। হ্যাঁ আপনারা তো ঠিকই শুনেছেন এবং যা দেখেন খবরের দুনিয়ায় তার অধিকাংশ সত্য। এটাই বিশ্বের কাছে হজম করা হয়ে গেছে চরম ব্যাপার। কারণ যেখানে একটি দেশ তার নতুন অঙ্কুরোদগম থেকে বের হয়ে আসার সমাজকে শেখাচ্ছে বোম বানানো আতংবাদি শিক্ষা। সেখানে বিশ্বের দরবারে তুরস্ক গাছ লাগানোর মত একটা প্রক্রিয়া করে নিজের সম্মান বৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাচ্ছে।


সম্পর্কিত খবর