নিয়োগ দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীরাই এবার পঞ্চায়েতে BJP-র মুখ? নেতার মন্তব্যে জোর জল্পনা

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) আগে একদিকে নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার অন্যদিকে ডিএ আন্দোলনে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। রাজ্যজুড়ে কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। কলকাতার রাজপথে ধর্নায় বসেছে যোগ্য চাকরিপ্রার্থীরা। এসব নিয়েই যখন নাজেহাল শাসকদল, এরই মধ্যে এবার সামনে এল আরেক খবর। দিনের পর দিন চাকরির দাবিতে যারা আন্দোলন করছেন, এবার তাদেরই ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের মুখ করতে চাইছে বিজেপি (BJP)।

ঠিক এমনটাই ইঙ্গিত মিলেছে বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীলরুদ্র মণ্ডলের কথায়। তিনি বলেন, “যে সমস্ত চাকরিপ্রার্থী (Job Seekers) কলকাতার রাজপথে আন্দোলন করছেন, তারা বুঝতে পারছেন এ সরকারের দিশা নেই। তাই তারা তৃণমূল সরকারকে জবাব দিতে চাইছেন। পঞ্চায়েত নির্বাচনে অনেকেই যারা বাঁকুড়ার চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন, বিজেপির পতাকার তলায় এসে তৃণমূলকে জবাব দেওয়ার কথা ভাবছেন। ”

বিজেপি নেতার কথায়, “সেই সকল চাকরিপ্রার্থীদের লড়াইকে সম্মান জানিয়ে আমরা সঙ্গে নেব। বিভিন্ন জায়গায় ভোটে লড়ার সুযোগ করে দেব।” তবে বিজেপির এই রণকৌশলকে পাত্তা দিতে নারাজ শাসকদল। তৃণমূলের বক্তব্য, বুথস্তরেও দেওয়ার মতো লোক নেই বিজেপির। তাই এসব পন্থা অবলম্বন করতে হচ্ছে।

bjp flag

এই বিষয়ে বিজেপিকে কটাক্ষ করে তৃণমূল নেতা শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আসল কথা হচ্ছে বিজেপির কোনও লোকজন নেই। বুথস্তরেও লোক নেই। ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত বড় নির্বাচন। জেলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি, গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী দাঁড়ানোর লোক নেই। তাই এসব করছে। লাভ হবে না তাতে। ভোট হবে উন্নয়নের নিরিখে। আমরা সকলে ৩৬৫ দিন মানুষের সঙ্গে থাকি। বিজেপি তো প্রার্থীই খুঁজে পাবে না। বাইরে থেকে লোক আনতে হবে। ওরা কাকে টিকিট দেবে বা দেবে না বিজেপির ব্যাপার। তবে প্রার্থী ওরা পাবে না।”

প্রসঙ্গত, গত লোকসভা ও বিধানসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া জেলায় ভালো ফল করেছিল বিজেপি। এবারেও সেই ধারাই বজায় রাখতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। এই আবহে নিয়োগ দুর্নীতির কারণে বঞ্চিত চাকরি প্রার্থীদের ভোটে টিকিট দেওয়ার পরিকল্পনা যে যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ এমনটাই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর