উত্তরপ্রদেশে নাম ভাড়িয়ে শিক্ষকতা করছিলেন এক মহিলা, খোঁজ মিলল আসল অনামিকা শুক্লার

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ করোনা ভাইরাসের সংকটের মধ্যে উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) অনামিকা শুক্লার (Anamika Shukla) জীবনে ঘটে যায় এক বিস্ময়কর ঘটনা। এই সংকটের মধ্যেই তিনি জানতে পেরেছেন, তাঁর নাম নিয়ে তারই জায়গায় শিক্ষকতা করে চলেছেন অন্য কোন ব্যক্তি। কিন্তু আসল অনামিকা শুক্লা এখনও কর্মহীন রয়েছেন।

ভুয়ো শিক্ষিকা
অমর উজালা সংবাদ পত্রে প্রকাশিত সংবাদের উপর ভিত্তি করে আসল অনামিকা শুক্লা বুঝতে পারেন তাঁর নাম নিয়ে অন্য কোন মহিলা নয় জেলায় কস্তুরবা বালিকা আবাসিক বিদ্যালয়ে বিজ্ঞানের শিক্ষক হিসাবে শিক্ষকতা করছেন । তৎক্ষণাৎ তিনি তাঁর সমস্ত নঠিপত্র নিয়ে সংবাদ সংস্থা এবং জেলা বেসিক শিক্ষা অফিসার ডাঃ ইন্দ্রজিৎ প্রজাপতির সঙ্গে দেখা করেন। সকলেই তাঁর কথা শুনে অবাক হয়ে যায়।

teacher 1

আসল অনামিকা তাঁর প্রমাণ পত্র দেখায়
অনামিকা জানান ২০১৩ সালে তিনি ৫ টি জেলায় সুলতানপুর, জৌনপুর, বাসটি, মির্জাপুর, লখনউতে স্কুল শিক্ষিকার জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার কারণে কাউন্সেলিং-র সময় তিনি যেতে পারেননি। অনামিকা তাঁর বিএসএ উচ্চ বিদ্যালয়, বিএসসি, বিএড এবং টিইটি রেকর্ড আধিকারিকদের দেখান। সমস্ত নথিপত্র দেখে আধিকারিকরা জানায়, আসল মহিলার জায়গায় কোন এক ভুয়ো মহিলা শিক্ষিকার চাকরি পেয়ে যায়। কিন্তু আসল অমানিকা শুক্লা এখনও কর্মহীন রয়েছেন।

শংসাপত্রে নামের পরিবর্তন
অনামিকা আরও জানান, তিনি ২০১৭ সালে চাকরির আবেদনের জন্য একটি আবাসিক শংসাপত্র তৈরি করেছিলেন। যেখানে তিনি তার পিতার নামের পরিবর্তে স্বামী দুর্গেশের নাম দেখিয়েছেন। আবার অন্য জেলায় আবেদনের সময় বাবার নাম রাখেন। বিএসএ অধিদপ্তর থেকে প্রাপ্ত রেকর্ডে আবাসের শংসাপত্র দেখতে গিয়ে এই অমিল ধরা পরে। তখন অনামিকা জানান, বিয়ের পর বাবার নামের বদলে স্বামীর নাম আবাসিক শংসাপত্রে লিখেছিলেন।

new 37

প্রতারকের শাস্তি এবং নিজের চাকরি ফেরত চায় অনামিকা
জেলা বেসিক শিক্ষা অফিসারকে নিজের প্রমাণ পত্র দিতে দিতে মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে পড়ে অনামিকা। তিনি জানান, দুই সন্তানকে মানুষ করতে গিয়ে এবং পরিবাররে কিছু সমস্যার কারণে তিনি প্রথমে কাজ করতে পারেনিনি। কিন্তু বর্তমানে তিনি কাজ করতে চাইছেন। মঙ্গলবার গন্ডা বিএসএ অফিসে মুখ্যমন্ত্রী ও ডিআইজি-র কাছে লিখিত আবেদন পত্রের মাধ্যমে অনামিকা ওই প্রতারকের শস্তির দাবী তুলেছেন। এবং নিজের চাকরি ফেরতের অনুরোধ করেছেন।

Smita Hari

সম্পর্কিত খবর