বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আবার হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) ডুমরিয়াগঞ্জ এলাকায়।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, শ্বাসকষ্ট জনিত কারণে এক যুবকে তার পরিবার সোমবার সন্ধ্যায় বেভান সিএইচসি হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে ভর্তি নেয়নি বা কোন রকম চিকিতসাও করেনি। তারপর যুবকের অবস্থা ক্রমশই খারাপ হতে থাকে। তাকে তার পরিবার আশঙ্কাজনক অবস্থায় উত্তরপ্রদেশের সিদ্ধার্থনগর জেলা হাসপাতালে আনা হয়। কিন্তু সেখানে মেডিকেল অফিসার যুবকে ভর্তি নেয়নি।
ক্রমশ যুবকের অবস্থা খারাপ হতে থাকে। যুবকের বাবা বিজেপি কর্মী রাজন দ্বিবেদীকে ফোন করে সাহায্য চান। হাসপাতালে আগত রাজন দ্বিবেদী রোগী দেখার জন্য ইএমও ডাঃ শৈলেন্দ্রকে অনুরোধ করেছিলেন। অভিযোগ, ইএমও করোনার সংক্রমণের কথা উল্লেখ করে রোগীর চিকিত্সা করেনি। ভর্তির জন্য জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেছিলেন প্রথমে ডিএমের চিঠিটি নিয়ে আসুন। এসময় যুবকের শ্বাস বাড়তে থাকে। রোগীর বাঁচার জন্য অক্সিজেন সিলিন্ডার চাইলেও হাসপাতালের পক্ষ থেকে তা দেওয়া হয়নি। সিএমও ড। সীমা রাই নিজেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে অভিযোগ করার পরে তিনি তার অফিসের অক্সিজেন সিলিন্ডার সরবরাহ করেছিলেন। কিন্তু ঘটনাস্থলে জুবকি মারা যান।
যুবকের বাবার অভিযোগ, যুবকটি ১৫ ই মে মুম্বাই থেকে দেশে ফিরেছিলেন। তখন সে সুস্থ ছিল। তারপর ৮ ই জুন থেকে তার শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। তখন আমি হাসপাতাল নিয়ে যাই চিকিৎসার জন্য। আমাকে সবাই বলছে করোনার হয়েছে। কিন্তু চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে গেলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাকে বারবার ফিরিয়ে দেয়। আমার ছেলের শ্বাসকষ্ট জেনেও তারা গ্যাস সিলিন্ডার পর্যন্ত দেয়নি। কারণ তারা সন্দেহ করছিল, তবুও তারা কোন রকম পরীক্ষা বা চিকিৎসা করেননি। তখন ওর শ্বাসকষ্ট এতটাই বেড়ে যায় যে তখনো মাটিতে লুটিয়ে পড়ে এবং মারা যায়। আমি এদের শাস্তি চাই।