বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাড়িতে কেউ নেই। সেই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন পরিচারক। বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগ নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। পরিচারকের হাত থেকে বাঁচতে ওই যুবতী কোনও রকমে আশ্রয় নেন রান্নাঘরে। তবে কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি বেরিয়ে আসেন রান্নাঘর থেকে। যুবতীর হাতে তখন একটি ছুরি।
সেই ছুরি দিয়ে কেটে নিলেন অভিযুক্তর যৌনাঙ্গ। এরপর সেই কাটা যৌনাঙ্গ হাতে করে নিয়ে গিয়ে হাজির হলেন থানায়। সেখানে গিয়ে খুলে বললেন গোটা ঘটনা। যুবতীর কথা শুনে স্তম্ভিত হয়ে যায় পুলিশও। উত্তর প্রদেশের কৌসাম্বী জেলায় চঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ আটক করেছে ওই যুবতীকে।
প্রয়াগরাজের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন অভিযুক্ত। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। পুলিশ জানিয়েছে, শশুরবাড়িতে থাকতেন ওই যুবতী। যুবতীর স্বামী সৌদিতে কর্মরত। বাড়িতে বছর তেইশের এক যুবক কাজ করত। বুধবার বাড়িতে পরিবারের অন্য কেউ ছিলেন না। বাড়িতে একাই ছিলেন যুবতী। সেই সুযোগে ওই অভিযুক্ত তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
আরোও পড়ুন : বাজলো বিয়ের বাজনা! মমতার পরিবারের ছেলের সাথে পাহাড়ী কন্যার বিয়ে, পাত্র কে জানেন?
ওই যুবকের হাত থেকে বাঁচতে যুবতি আশ্রয়ে নেন রান্নাঘরে। এরপর তিনি রান্নাঘর থেকে হাতে একটি ছুরি নিয়ে বেরিয়ে আসেন। এক কোপে অভিযুক্তর পুরুষাঙ্গ কেটে দেন। এরপর ওই যুবতী কাটা যৌনাঙ্গ নিয়ে গিয়ে হাজির হন থানায়। পুলিশকে গোটা ঘটনা জানানোর পর ওই যুবতীর বাড়ি আসে পুলিশ। পুলিশ এসে দেখে বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে ওই যুবক।
এরপর তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। পুলিশ জানিয়েছে অভিযুক্ত তার দেওয়া বয়ানে ভিন্ন দাবি করেছে। অভিযুক্তর দাবি, তিনি ছোটবেলা থেকেই কাজ করতেন ওই বাড়িতে। বুধবার ওই মহিলা তাকে তার ঘরে ডাকে। কিছু খাইয়ে অজ্ঞান করে কেটে নেওয়া হয় তার যৌনাঙ্গ। এরপর অভিযুক্তর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে যুবতীকে গ্রেফতার করে পুলিশ।