জলযোদ্ধার প্রয়াসে পুনর্জীবিত হয়েছে নদী, ৪৫০ টি পুকুর, বহু গ্রাম হয়েছে সংকটমুক্ত

Published On:

উত্তর প্রদেশের মেরাট জেলার পুথি গ্রামের বাসিন্দা রমনকান্ত তায়াগি প্রাথমিকভাবে পড়াশোনা শেষে জীবনধারণের জন্য কাজ করেছিলেন তবে তিনি সেই জীবন তার পছন্দ ছিলো না। মীরাতে কাজ করার সময়,সমাজকর্মী রমনকান্তি অনিল রানার সাথে তার পরিচয় হয়  । আর অনিল একটি ভাল শিক্ষকের চাকরি ছেড়ে সামাজিক কাজে জড়িত ছিলো আর টা জল সংরক্ষণের কাজ।

“বাড়ির পরিস্থিতি এমন ছিল যে আমাদের দু’জন ভাইকে চাকরির জন্য আমাদের গ্রাম ছেড়ে চলে যেতে হয়েছিল। আমরা মীরাতে একটি চাকরি পেয়ে সেখানে থাকতে শুরু করি। আমি সেখানে কর্মরত ছিলাম কিন্তু আমার মন সেখানে স্থিতিশীল ছিল না, আমাকে অন্য কিছু করতে হয়েছিল। অন্য কাজে রাজি হওয়ায় প্রথমে অস্বীকার করেছিলেন যে আপনি এখনও ছোটএবং আমি আপনাকে কোনও অর্থ দিতে পারবো না । তবে আমি তার সাথে কোনও টাকা ছাড়াই কাজ করতে চেয়েছিলাম। আমার সিদ্ধান্তে আমার ভাইও আমাকে সমর্থন করেছিলেন। ” আর এরপরে কাজ শুরু হয়।জলের উত্স, নদী-পুকুর, বৃষ্টির জলের সংগ্রহ ইত্যাদির সমস্ত বই বা গবেষণা পত্র পড়েছিলেন।

এর পরে, তারা উত্তর প্রদেশের বিভিন্ন গ্রামাঞ্চলে বিচরণ শুরু করে। এই সময়ে তিনি কালী নদী এবং হিনডন নদী নিয়ে পড়াশোনা করেন। অনিল রতন মারা যাওয়ার পর তিনি নিজেই কাজ শুরু করে। জলের উত্স নিয়ে তাঁর কাজ দেখে তিনি ২০০৯ সালে ইস্তাম্বুলের ‘ওয়াটার ফোরাম’ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার সুযোগ পায়।

এমনকি অনেক জায়গায় জলের স্তর হ্রাস পাওয়ার পর অনেক নদী শুকিয়ে যেতে থাকে।রোমোনকান্ত সেই স্তর বার করে নদীর উত্স খুঁজে পেয়েছিলেন, তখন তিনি দেখতে পেয়েছিলেন যে এখানকার লোকেরা আশেপাশে মাটিতে ঐ জল ব্যবহারে কাজে লাগাচ্ছে।

X