বাংলাহান্ট ডেস্ক : সাধারণত দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ (War) বাঁধতে দেখা যায় তখনই যখন তারা প্রতিবেশী দেশ হয়। কিন্তু চীন (China) এবং আমেরিকা (United States of America) দুজনেই কেউ কারও প্রতিবেশী নয়। তাহলে কী কারণে যুদ্ধ বাধতে পারে? আসুন সেটা আগে জেনে নেওয়া যাক। চিন থেকে আমেরিকার দূরত্ব প্রায় ১১,৩০০ কিলোমিটার।
চীন (China) আর আমেরিকার (United States of America) যুদ্ধে (War) এগিয়ে কে?
তাই সীমান্ত নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ঝামেলা হবার কোন সম্ভাবনা নেই। তবে ঝামেলা হওয়ার অন্য একটি কারণ হল তাইওয়ান। নিজেকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসাবে ঘোষণা করা তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে চিন। এই নিয়েই দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ (War) বাধার একটা সম্ভাবনা দেখছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষজ্ঞদের মতে চিন এবং আমেরিকার মধ্যে যদি যুদ্ধ বাধে তাহলে তা বিশ্বযুদ্ধের কিছু কম হবে না।
আরোও পড়ুন : এক্কেবারে সুরক্ষিত হবে শিশুদের ভবিষ্যত! হয়ে গেল ঘোষণা, এবার এই স্কিমে যোগ দিতে পারে খুদেরাও
কারণ সামরিক (Military Strength) দিক থেকে এই দুই দেশ মহাশক্তিধর। আসুন এই ফাঁকে দেখে নেওয়া যাক চীন (China) এবং আমেরিকার (United States of America) মধ্যে কার সামরিক ক্ষমতা বেশী? অস্ত্র ভান্ডারে এগিয়ে কে? ২০২২ সালের একটি তথ্য বলছে, আমেরিকার জিডিপি ২৫ লক্ষ কোটি ডলার। সে জায়গায়, চিনের জিডিপি মাত্র ১৮ লক্ষ কোটি ডলার।
আরোও পড়ুন: সর্বনাশ! কপাল পুড়ল এই চার জনপ্রিয় ব্যাঙ্কের! কোমর বেঁধে নামছে RBI, কী হবে এবার?
আমেরিকা প্রতি বছর সামরিক খাতে খরচ করে ৮৭৬০০ কোটি ডলার। সেখানে চিন সামরিক খাতে প্রতি বছর ব্যয় করে মোটে ২৯১০০ কোটি ডলার। তবে খরচের দিকে আমেরিকা এগিয়ে থাকলেও সেনার দিকে এগিয়ে কিন্তু চিন। চিনের হাতে আছে ২০ লক্ষ জওয়ান আর আমেরিকার হাতে মাত্র ১৩ লক্ষ। যুদ্ধে (War) ব্যবহৃত ট্যাঙ্কার চিনের হাতে রয়েছে ৫০০০ টি।
আর আমেরিকার কাছে রয়েছে ৪৬০০টি। যুদ্ধবিমান আমেরিকার হাতে আছে ১৮০০টি। চিনের হাতে রয়েছে ১২০০টি। আমেরিকা রয়েছে ৫৭০০টি কপ্টার। চিনের ৯১৩টি। ডুবোজাহাজ রয়েছে দুই দেশেরই সমান। ৬০টি করে। তবে চিনের হাতে যুদ্ধজাহাজ রয়েছে বেশি। ৭৩০টি। সেখানে আমেরিকার হাতে রয়েছে মাত্র ৪৭২টি।
তবে পরমাণু অস্ত্রে অনেক এগিয়ে আমেরিকা। আমেরিকার কাছে রয়েছে ৫২২৪টি পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্র (Nuclear Weapons)। চিনের হাতে রয়েছে মাত্র ৪১০টি। তবে চীনের হাতে রয়েছে একটি মারাত্মক অস্ত্র, ‘সাইবার অস্ত্র’। দেশের সাইবার (Cyber Department) ক্ষেত্রে হানা দিতে পারে এই অস্ত্রের মাধ্যমে।