বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আবু মোহাম্মদ আল হিন্দি নাম নিয়ে ফেসবুক প্রোফাইল খুলেছিল ইমানুল হক ( Inamul Haq)। সেখান থেকে তাঁর বার্তা পাঠাত জঙ্গি সংগঠনের কাছে। এমনকি সেখানে আল-কায়েদার পতাকাও রেখেছিল নিজের চিহ্নরূপে। জম্মু ও কাশ্মীর, কেরল এবং কর্ণাটকের যুবকদের নিজের দলে টানার জন্য ফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখত ইমানুল।
পরিকল্পনা ছিল পিওকে যাওয়ার
লখনউতে দীর্ঘ জিজ্ঞাবাদের পর তাঁর থেকে এই সমস্ত তথ্য পাওয়া যায়। তিনি জিহাদি সংগঠনের স্লিপিং মডিউল হিসাবে কাজ করত। আতঙ্কবাদীর প্রশিক্ষণ নেওয়ার জন্য পিওকেতে যাওয়ার পরিকল্পনাও নিচ্ছিল ইমানুল।
যোগাযোগ হত অনলাইনের মাধ্যেম
বরৌলি শহর থেকে ইমানুল হককে গ্রেপ্তার করার পর এটিএস জিহাদি নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের খোঁজ খবর করছে। তদন্তে জানা গেছে, ইমানুল স্যোশাল মিডিয়ায় অনেক বেশি সক্রিয় ছিল। বিভিন্ন স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহার করে বিভিন্ন আতঙ্কবাদীদের সঙ্গে যুক্ত থাকত। এমনকি অন্য নাম নিয়েও সে বিভিন্ন জায়গার যুবকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলত। ইন্টারনেট বা হোয়াটসঅ্যাপ কলিংয়ের মাধ্যমেই ইমানুল বেশি কথাবার্তা বলত। যাতে করে কোন কল রেকর্ড বা প্রমাণ না থাকে।
প্রশিক্ষণ হত ১৫ দিনের
খুব শীঘ্রই পাক অধ্যুষিত কাশ্মীরে প্রশিক্ষণের জন্য যেত ইমানুল। সেখানে ১৫ দিনের প্রশিক্ষণ নেওয়ার কথা হয়েছিল। এরপরই সে সক্রিয়ভাবে সন্ত্রাসবাদী মিশনে যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। পাশাপাশি ফেসবুক প্রোফাইলে ইমানুল আল-কায়েদার পতাকাও রেখেছিল।