বাংলাহান্ট ডেস্ক: আয়কর দপ্তরের (Income Tax) পক্ষ থেকে দেশের প্রত্যেকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কড়া নজরদারি চালানো হয়। তবে অনেকেই হয়ত জানেন না সেভিংস অ্যাকাউন্টের লেনদেনের উপর নির্দিষ্ট বাধাধরা নিয়ম থাকে। সেই সীমা অতিক্রম করে লেনদেন করলে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে সেটি জানাতে হয় আয়কর দপ্তরে।
আয়কর দপ্তরের (Income Tax) নিয়ম অনুযায়ী সেভিংস অ্যাকাউন্টে টাকার হিসেব
নির্দিষ্ট সীমার উপর লেনদেন করলে দিতে হয় আয়করও। একটি আর্থিক বছরে যদি সেভিংস অ্যাকাউন্টে (Savings Account) ১০ লক্ষ টাকার বেশি লেনদেন হয় তাহলে অ্যাকাউন্ট হোল্ডারকে তা জানাতে হবে আয়কর দপ্তরে। যদি আপনি আয়কর দপ্তরে আপনার আয় সংক্রান্ত নির্দিষ্ট নথি না দিতে পারেন অথবা আয়কর ফাঁকি দেন তাহলে আয়কর দপ্তরের পক্ষ থেকে আসতে পারে নোটিশ।
আরোও পড়ুন : এবার কলকাতার এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থায় কাজের সুযোগ, জারি হল বিজ্ঞপ্তি, কীভাবে করবেন আবেদন?
১৯৫২ সালের সেকশন ১১৪ বি আয়কর আইন অনুযায়ী, একটি অ্যাকাউন্টে ১০ লক্ষ টাকার বেশি লেনদেন (Transaction) হলে ব্যাঙ্কের তরফে তার রিপোর্ট পাঠানো হয় আয়কর দপ্তরের কাছে। সেই মোতাবেক আপনাকে প্রদান করতে হয় আয়কর। এছাড়াও অ্যাকাউন্টে দৈনিক লেনদেনের ক্ষেত্রেও রয়েছে নির্দিষ্ট নিয়ম।
আরোও পড়ুন : ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পদ ছাড়তে হবে! এবার কড়া নির্দেশ দিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্ট! কোন মামলায়?
একদিনে ৫০ হাজার টাকার বেশি অ্যাকাউন্টে জমা করলে গ্রাহককে প্রদান করতে হয় প্যান বিবরণ। যদি গ্রাহকের প্যান কার্ড না থাকে তাহলে জমা করতে হয় ফর্ম ৬০-৬১। একটি আর্থিক বছরে বিপুল পরিমাণ লেনদেন হলে তার সমস্ত নথি ও প্রমাণ নিজের কাছে রেখে দেওয়া উচিত প্রত্যেকের। যদি আয়কর দপ্তরের (Income Tax) পক্ষ থেকে নোটিশ পান তাহলে বিভ্রান্ত হবেন না।
আয়কর দপ্তর (Income Tax) যদি আপনার লেনদেনের উপর নজরদারি চালায় তাহলে আপনাকে যথাযথ লেনদেনের উৎস সম্পর্কে জানাতে হবে। উপযুক্ত তথ্য ও অর্থের উৎস সম্পর্কিত নথি নিয়ে যোগাযোগ করুন আয়কর দপ্তরের অফিসে। সঠিক তথ্য পেশ করলে আপনি একটি আর্থিক বছরে যথেষ্ট পরিমাণ লেনদেন করতে পারেন কোনো রকম ঝঞ্ঝাট ছাড়াই।