বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উত্তর প্রদেশ থেকে এমন কিছু ঘটনা সামনে এসেছে যা দেখলে আপনার চোখ ছানাবড়া হতে বাধ্য। সাধারণ ঠেলাওয়ালা কিম্বা রাস্তার ধারের কচুরি, জিলিপি, পান, সিগারেট ইত্যাদি বিক্রি করা ছোটখাটো ঘুমটির দোকানদারদের সাধারণভাবে দরিদ্র মনে করাই স্বাভাবিক। কিন্তু উত্তরপ্রদেশের এই খবরটি আপনাকে রীতিমতো চমকে দেবে। আয়কর বিভাগের তদন্তে জানা গিয়েছে এদের মধ্যে এমন বেশ কিছু লোক রয়েছেন যারা রীতিমতো কোটিপতি। আর তার সংখ্যাটাও নেহাত কম নয়, সরকারি চোখে সম্পূর্ণ ধোঁকা দেওয়া ২৫৬ জন কোটিপতি কে এভাবেই খুঁজে বের করলো আয়কর দপ্তর।
করোনার কারণে যখন অর্থনীতি রীতিমতো ভেঙে পড়েছে, তখন কানপুরেই এমন একজন কাবাড়িওয়ালার কথা জানা গিয়েছে যার তিন তিনটে গাড়ি রয়েছে। অথচ সরকারকে ট্যাক্সের নামে আজও ফাঁকি দিয়ে আসছে তারা। জিএসটি তো দূরের কথা। শুধু এই একজন নয় আয়কর বিভাগের তালিকায় এমন কিছু ফল বিক্রেতাকেও পাওয়া গিয়েছে যাদের প্রায় কয়েকশো বিঘা জমি রয়েছে, অথচ তারা রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ফল বিক্রি করেন।
এই সমস্ত খুচরা ব্যবসায়ীদের উপর আগে থেকেই নজর ছিল আয়কর বিভাগের। অবশেষে ডেটা সফটওয়্যার এবং অন্যান্য প্রযুক্তির মাধ্যমে যখন তাদের কর্মকান্ড সামনে আসে তখন রীতিমত অবাক হয়ে যান আয়কর বিভাগের কর্তারাও। দেখা গিয়েছে, এ ধরনের ব্যবসায়ীরা সরকারকে একটা টাকাও ট্যাক্স দেননি, অথচ এদের নামে রয়েছে প্রায় ৩৭৫ কোটি টাকার সম্পত্তি। কারিয়ানা অঞ্চলে এমন দুটি পান গুমটির হদিস মিলেছে, যার মালিকরা এই লকডাউনেও ৫ কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছেন। মাল রোডের এক ঠেলাওয়ালাকে পাওয়া গেছে যিনি বিভিন্ন ঠেলায় প্রায় ১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা প্রতিমাসে ভাড়া দেন।
লালবাংলা এবং বেকনগঞ্জ অঞ্চলে এমন তিনজন কাবাড়িওয়ালার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যারা প্রায় ১০ কোটি টাকার সম্পত্তি কিনেছেন গত দুই বছরে। সব মিলিয়ে দেখা গিয়েছে প্রায় ৬৫০ বিকাশ সম্পত্তি রয়েছে এই ছুপারুস্তমদের নামে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিজেদের আত্মীয়ের নামে সম্পত্তি কিনেছিলেন তারা। অনেক ক্ষেত্রেই সম্পত্তি কেনার জন্য ছোট-ছোট সমবায় ব্যাংক থেকে লোনও নেওয়া হয়েছে। তবে সরকারি নথিপত্রে আধার কার্ড এবং প্যান কার্ড দেওয়াতেই ধরা পড়েছেন তারা।