বাংলা হান্ট ডেস্ক : ঝাড়খণ্ডের রাজ্যসভার কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ প্রসাদ সাহুর (Dhiraj Prasad Sahu) রাঁচি, লোহারদাগা এবং ওড়িশার পাঁচটিরও বেশি জায়গায় রেইড শুরু করেছে ইনকাম ট্যাক্সের কর্মকর্তারা (Income Tax Department)। বুধবার সকাল সকাল সাংসদ সাহুর পৈতৃক ভিটা লোহারদাগা এবং রাঁচির রেডিয়াম রোডের উপর অবস্থিত একটি বাংলোতে পৌঁছে যান আয়কর দফতরের কর্তারা। সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী।
অফিসাররা সাংসদের বাড়িতে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে ঘিরে ফেলেন গোটা এরিয়া। শুরু হয় জোরকদমে তল্লাশি। নানা ধরণের নথি যাচাই বাছাই করা হচ্ছে বলে খবর। সেই সাথে ওড়িশার সুন্দরগড়ে ধিরজ সাহুর যে সমস্ত জমি সম্পত্তি রয়েছে সেগুলিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে খবর। শোনা যাচ্ছে, সাংসদ ধীরজ প্রসাদ সাহুর বাসভবনে কর্মরত কর্মীরা সকালে কাজের জন্য এলে তাদের ভেতরে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। বাড়ির লোকজনকেও আপাতত বাইরে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালের ১২ ডিসেম্বর একবার আয়কর দফতরের দল পৌঁছেছিল ধীরজ সাহুর বাড়িতে। সেবার রাঁচি থেকে দিল্লি ভ্রমণের সময় বিমানবন্দরে সাংসদের তল্লাশি করে মিলেছিল ৩৮.৫ লক্ষ টাকা। সেই ঘটনার পর ফের একবার আয়কর দফতরের নিশানায় কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ সাহু। উল্লেখ্য, তিনি কংগ্রেস থেকে দুবার রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন : খোদ মহাদেবের হাতে সূচনা! বিজেপির নয়া যোগী বালকনাথের সম্প্রদায়ের নিয়ম অবাক করবে
ঝড়খণ্ডের এই কংগ্রেস সাংসদের ব্যাকগ্রাউন্ডের কথা বললে, তিনি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। রাজনীতির সাথে বহু পুরনো সম্পর্ক তাদের। এছাড়াও ব্যবসার জগতেও তার ভালো সুনাম রয়েছে। এমতাবস্থায় আয়কর দফতরের হঠাৎ আবির্ভাবে তিনি তেমন বিচলিত হয়েছেন বলে মনেও হয়না। কারণ এই অভিযানের মধ্যে সকাল থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় ধীরজ সাহু।
আরও পড়ুন : গেরুয়া শিবিরে নয়া মোড়, ৫ রাজ্যের ভোট মিটতেই পদত্যাগ ১০ BJP সাংসদের, তালিকায় ২ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী
এইদিন সকাল তিনি তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে দুটি পোস্ট করেছেন। বুধবার সকাল সকাল ডঃ ভীমরাও আম্বেদকরকে তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রথম পোস্ট পোস্ট করেছিলেন। এরপর দুপুর ১২ টা নাগাদ রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রার একটি ভিডিও ক্লিপ শেয়ার করেন এবং লিখেছেন, “হাত ধরে চলো, হাসতে থাকো, এসো। ভারতকে ঐক্যবদ্ধ কর!”