গোবিন্দ দেবনাথ, আগরতলা, ১৪ আগস্ট
তিনদিকে বাংলাদেশ দিয়ে ঘেরা ত্রিপুরা। এই রাজ্যে বিজেপি ও আইপিএফটি জোট সরকার তৈরির পর আগরতলা বিমানবন্দরের আধুনিকীকরণে জোর দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালে নতুন নামকরণ করা হয় মহারাজ বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুর বিমানবন্দর। সেই সঙ্গে শুরু হয় এই এয়ারপোর্টকে আন্তর্জাতিক মান দেওয়ার উদ্যোগ।
এদিকে আধুনিকীকরণের প্রভাব পড়েছে এবারে ৭৩ তম স্বাধীনতা দিবস পালনেও। মনোমুগ্ধকর সাজসজ্জা করা হয়েছে বিমানবন্দরে। উত্তর পূর্বাঞ্চল ভারতের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ এয়ারপোর্ট।ঐতিহাসিক প্রেক্ষপট এরকম। ত্রিপুরার রাজা বীর বিক্রম কিশোর মাণিক্য বাহাদুর ১৯৪২ সালে তৈরি করান আগরতলা বিমানবন্দরটি। তখনও ভারত অভিন্ন। পরে দেশ ভাগ হতেই এই বিমানবন্দরটি পড়ে গিয়েছিল পূর্ব পাকিস্তানের সীমান্তে। পরে বাংলাদেশ তৈরি হয়। তখন থেকে বাংলাদেশের সীমান্ত রেখার খুব কাছে রয়েছে আগরতলা বিমানবন্দর।
জানা গিয়েছে, আগরতলা বিমানবন্দরকে আন্তর্জাতিক মানের তৈরি করতে সীমান্তের ওপারে থাকা কিছু জমি দরকার ভারত সরকারের। এদিকে বাংলাদেশ বিমান পরিবহণ মন্ত্রকের কিছু কর্মকর্তা জানাচ্ছেন, প্রতিবেশী দেশের চাহিদা মতো জমি পড়ছে আখাউড়া উপজেলায়। সেখানকার প্রায় ১ কিলোমিটার পর্যন্ত জমি দরকার আগরতলা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য। এর পরেই ভারত ও বাংলাদেশের তরফে হয় বৈঠক। এই বৈঠকে আগরতলা বিমানবন্দর সম্প্রসারণের জন্য বাংলাদেশের কাছে জমি চেয়ে প্রস্তাব করা হয়। কোন পদ্ধতিতে এই জমি নেওয়া সম্ভব তা নিয়েই জটিলতা। ২০১৮ সালে তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং ঢাকা সফরে গিয়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহারের অনুমতি চেয়েছিলেন। জটিল এই জমি নেওয়ার পদ্ধতিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে কিছু মন্ত্রকের সঙ্গে আলোচনা জরুরি। এই প্রসঙ্গে উঠে এসেছে দুটি দেশের মধ্যে থাকা অভিন্ন বিমানবন্দরের কথা। এমন রয়েছে ইউরোপ, মার্কিন যু্ক্তরাষ্ট্র ও কানাডায়। যেমন ১৯২০ সালে নির্মিত সুইজারল্যান্ডের জেনেভা বিমানবন্দর। এটি একইসঙ্গে সুইজারল্যান্ড এবং ফ্রান্স সরকার ব্যবহার করে। জানা গিয়েছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার সীমান্তে এমন অভিন্ন কিছু বিমানবন্দর রয়েছে।