বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আজ ১৫ই অগাস্ট। ভারতের ৭৭তম স্বাধীনতা দিবস (Independence Day) উদযাপনে গোটা দেশ। আনন্দে, উৎসবে সেজে উঠেছে গোটা ভারত। দেশজুড়ে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে নানা অনুষ্ঠান। অন্যদিকে নন্দীগ্রামে আরেক চিত্র। পঞ্চায়েত ভোট মিটে গিয়েছে বেশ কিছুদিন। তবে এখনও থামার নাম নেই অশান্তি।
পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Vote) শেষ হয়ে বোর্ড গঠনও হয়ে গেছে। তবুও অশান্তির আগুনে জ্বলছে নন্দীগ্রাম (Nandigram)। আর ১৫ই আগস্টের দিন যেখানে আনন্দ-উদযাপনে ব্যস্ত দেশবাসী সেখানে স্বাধীনতা দিবসের পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করেও তৃণমূল-বিজেপির ধুন্ধুমার (TMC-BJP Clash)।
আর ঘটনা গিয়ে শুরু কাদা ছোড়াছুড়ি। প্রসঙ্গত এদিন নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের কালিচরণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল অফিসে পতাকা উত্তোলন ঘিরে তোলপাড়। সেই গ্রাম পঞ্চায়েতটি বিজেপির দখলে রয়েছে। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ, প্রধান ও তাদের দলের সদস্যদের ব্যাপক মারধর করেছে তৃণমূল।যার জেরে গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন প্রধান দীপালি দাস ও বিজেপি নেতা চন্দন দাস। অন্যদিকে জখম হয়েছেন দলের আরও পাঁচজন সদস্য।
আরও পড়ুন: হেলিকপ্টার থেকে পুষ্পবৃষ্টি, জমজমাট অনুষ্ঠান! রেড রোডে পতাকা উত্তোলন করলেন মুখ্যমন্ত্রী
তুমুল মারধরের ঘটনায় তড়িঘড়ি আহতদের নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে বিজেপি নেতা চন্দন দাসের অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ তুড়ি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। অভিযোগের কথা অস্বীকার করে তাদের পাল্টা অভিযোগ, পতাকা উত্তোলনে দেরি হওয়ায় বিজেপির ওপর ক্ষুব্ধ হন গ্রামবাসীরা। এরপরেই এককথা দুকথায় উত্তেজিত গ্রামবাসীরা বিজেপির প্রধান ও কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে তাদের মারধর করে।
আরও পড়ুন: ২৪ ঘন্টায় তোলপাড়! ৭ জেলায় অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করল আবহাওয়া দফতর: আবহাওয়ার খবর
এলাকাবাসীরা জানচ্ছে, এদিন বিজেপির প্রধান দীপালি দাস স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। কিন্তু নির্ধারিত সময়ে তিনি পতাকা উত্তোলন করতে না আসায় তৃণমূলের কর্মীরা জোর করে পতাকা উত্তোলন করে দেয়। এরপরেই উপস্থিত বিজেপি-তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে গন্ডগোল লাগে। এদিকে ততক্ষনে সেখানে প্রধান গিয়ে উপস্থিত হলে তাকেও মারধর করে তৃণমূল।