১৮ মাসে ২০০ কোটি! করোনা টিকাকরণে রেকর্ড গড়ল ভারত

বাংলাহান্ট ডেস্ক : দেশজুড়ে ফের ঊর্ধমুখী করোনার গ্রাফ। সারা ভারতে চতুর্থ ঢেউ (Forth Wave) আছড়ে পড়ার সময়েই দেশবাসীর জন্য এলো এক নতুন সুসংবাদ। মাত্র ১৮ মাসে কোভিড (Covid 19) টিকাকরণ (Vaccination) যুদ্ধে নজির সৃষ্টি করল ভারত। আজ ২০০ কোটি টিকাকরণ অতিক্রম করল ভারত। ২০২১ সালের মার্চ মাস থেকে শুরু হয় করোনার হানা। প্রথম পর্যায়ে সামলে নিলেও দ্বিতীয় পর্যায় করোনা মহামারী (Pandemic) ভয়ংকর আকার ধারণ করে ভারতে। সেই সময় করোনার হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য একমাত্র অস্ত্র ছিল টিকাকরণ। প্রথমদিকে ধীরগতিতে শুরু হলেও পরবর্তী সময় করোনার টিকাকরণ দ্রুত ছড়িয়ে দেওয়া হয় সারা দেশে।

সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সক্রিয় নেতৃত্ব, মেক-ইন-ইন্ডিয়া এবং মেক-ফর-ওয়ার্ল্ড মন্ত্র দেশকে এই লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করেছে। আজ দেশের প্রায় প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিক ভ্যাকসিনের সম্পর্কে একটি স্বচ্ছ ধারণা পেয়েছেন। সরকারী আধিকারিকরা জানিয়েছেন যে, বৈজ্ঞানিক পরামর্শের উপর নির্ভর করে অগ্রাধিকারের নীতির ভিত্তিতে ভারতে সপ্তম পর্যায়ের কোভিড টিকাকরণ অভিযান পরিচালিত হয়েছিল।

টিকাকরণে ভারত অনেক আগেই গোটা ইউরোপকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল। ভারত শুধুমাত্র নাগরিকদের কোভিড ভ্যাকসিনের ২০০ কোটি ডোজ দেয়নি, বরং ৫০ টিরও বেশি দেশে ২৩ কোটিরও বেশি ভ্যাকসিন ডোজ রপ্তানি করেছে এবং এখনও প্রায় ১০০ মিলিয়ন ডোজ স্টকে রয়েছে। যার অর্থ হল দেশে গত ১৮ মাসে প্রায় ২৩৩ কোটি কোভিড ভ্যাকসিনের ডোজ তৈরি হয়েছে।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া বলেছেন যে ,এই বছর করোনা মহামারীর তৃতীয় ঢেউয়ের সময় এই টিকাদান অভিযান ‘ভারতকে বাঁচিয়েছিল’ এবং এর ফলে মৃত্যুর হার কম হয়েছিল। প্রধানমন্ত্রী টিকা প্রচার শুরু করার নয় মাস পরে, ভারত ১০০ কোটি টিকার গণ্ডি অতিক্রম করেছিল।আজ তা পূর্ণ করলো ২০০ কোটির গণ্ডি।

Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর