বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত মাসে রাষ্ট্রসঙ্ঘের একটি রিপোর্টে প্রকাশ পায় চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের উপর পাশবিক অত্যাচারের ঘটনা। গত বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদে এই বিষয়টি নিয়ে বিতর্কের প্রস্তাব দেওয়া হয়। সেই বিতর্কের প্রস্তাবের ভোটাভুটি থেকে বিরত থাকলো ভারত।
পিটিআই সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে বিতর্কের জন্য রাষ্ট্রসংঘে পেশ করা হয় একটি খসড়া প্রস্তাব। ভোটাভুটিতে সেই প্রস্তাব যদিও খারিজ হয়ে যায়। স্থায়ী ৪৭ টি দেশের মধ্যে ১৭ টি দেশ খসরা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয়। ১৯ টি শেষ এই প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দান করে। অপরদিকে, ভারত সহ ব্রাজিল, ইউক্রেন, মেক্সিকোর মতো ১১টি দেশ বিরত থাকে ভোটদান থেকে।
কিন্তু রাষ্ট্রসঙ্ঘের রিপোর্টে ঠিক সামনে এসেছিল?
কিছু মাস আগে রাষ্ট্রসঙ্ঘের মানবাধিকার রিপোর্ট উঠে আসে ভয়ংকর তথ্য। সেই রিপোর্টে বলা হয়, চীনের জিনজিয়াং প্রদেশে ভয়ংকর ভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার। এই প্রদেশে চক্রান্তের শিকার সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমরা। ধর্ষণের পাশাপাশি পুরুষদের জোর পূর্বক নির্বীজকরণের ভয়ংকর অভিযোগ রয়েছে এই রিপোর্টে। পাশাপাশি আরও অভিযোগ, আচমকাই নিজেদের বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয়ে যাচ্ছেন কেউ কেউ। কোথাও আর তাদের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। সংখ্যালঘু উইঘুর ও অন্যান্য মুসলিম সম্প্রদায়ের মানবাধিকার হরণের তথ্য উঠে এসেছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘের ৪৯ পাতার এই রিপোর্টে।
কমিশনার মিচেল এই বিষয় নিয়ে রাষ্ট্রসংঘ, মানবাধিকার কমিশন ও চীন সরকারকে নজর দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তবে অদ্ভুতভাবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের পেশ করা এই রিপোর্টে উল্লেখ নেই জিনজিয়াং উইঘুর অটোনমাস রিজিয়নে গণহত্যার । বারংবার এই বিষয়টি নিয়ে চীনের সমালোচকরা মুখ খুললেই এই রিপোর্টে তার কোনও উল্লেখ নেই।