বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গালওয়ান (Galwan valley) উপত্যকায় চীন (China) যা শিক্ষা পাচ্ছে, সেটা তাঁরা আজীবনেও ভুলবে না। এতদিন ধরে চীনের মনে যদি ২০২০ এর নতুন ভারত (India) নিয়ে কোন ভ্রান্ত ধারণা থেকে থাকে তাহলে সেটা এবার দূর হল। চীনের চাপে না ঝুঁকে নতুন ভারত (New India) তাদের যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত ছিল আর কূটনৈতিক দিক থেকে চীনকে চরম শিক্ষা দিয়ে তাদের চারিদিক থেকে অপদস্ত করল।
নিজেকে বিশ্বের সবথেকে শক্তিশালী দেশ মনে করা চীনের অহংকার এবার ভেঙেছে। গালওয়ানের পর চীন বুঝতে পড়েছে যে, এবার ভারতের সাথে মোকাবিলা করা তাদের পক্ষে ক্ষতিকর হবে। নতুন ভারত কীভাবে চীনকে চারদিক থেকে অপদস্ত করল, আসুন সেটা জানাই আপনাদের।
গালওয়ান হোক আর প্যাংইয়াং অথবা ডেপসাং, চীন লাদাখের যেখানে যেখানে মোর্চা খুলেছে ভারত সেখানে সেখানে তাদের যোগ্য জবাব দিয়েছে। চীন ১০ হাজার সেনা মোতায়েন করলে, ভারতও সমপরিমাণ সেনা মোতায়েন করে। চীন ফাইটার জেট মোতায়েন করলে, ভারতও তাদের সবথেকে শক্তিশালী ফাইটার জেট চীনের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়। চীন ভুয়ো ভিডিও জারি করে নিজেদের শক্তিশালী প্রমাণ করতে চায়, আর ভারত লাদাখে মাউন্টেন্ট ফোর্সকে এগিয়ে দেয়।
পাংইয়াং আর গালওয়ানের পর চীন যখন ডেপসাংয়ে নতুন মোর্চা খোলে, তখন চালাক চীনকে যোগ্য জবাব দেওয়ার জন্য লাদাখে সেনাকে আরও মজবুত করে এবং ঘাতক টি-৯০ ভীষ্ম ট্যাংক মোতায়েন করে।
চীন গালওয়ানে সীমান্ত পেরিয়ে এগিয়ে আসার চেষ্টা করলে ভারতের বীর জওয়ানরা তাদের উচিৎ শিক্ষা দেয়। এমনকি চীনের কর্নেল র্যাংকের আধিকারিককে পর্যন্ত বন্দি করে রাখা ভারতীয় সেনা।
আরেকদিকে, চীন ভারতের নির্মাণ নিয়ে যতই বিরোধিতা করুক না কেন, ভারত সেদিকে কর্ণপাত না করে নিজেদের কাজ চালিয়ে যায়। চীনের মোকাবিলা করার জন্য ভারতীয় পরিকাঠামো মজবুত করার কাজে লেগে পড়ে। আর এরজন্য মোদী সরকার শুধু রাস্তা নির্মাণই না, সমস্ত ছোট ছোট বিন্দুতে নজর দেয়।
লাদাখে এখন নতুন করে ৫৪ টি মোবাইল টাওয়ার বসানোর কাজ শুরু করেছে ভারত। এলএসসির পাশে ডেমচৌকেও ভারত এখন মোবাইল টাওয়ার বসাচ্ছে।
ভারত আর আমেরিকার বন্ধুত্ব চীনের জন্য মাথাব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এবার আমেরিকাও ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আমেরিকার বিদেশ মন্ত্রী মাইক পম্পিও পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন যে, আমেরিকা ভারতের পাশে আছে। আরেকদিকে অস্ট্রেলিয়াও ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। চীন এখন গোটা বিশ্বে একা হয়ে গেছে। যদিও একা বলা ভুল, চীনের পাশে আর কেউ থাকুক আর না থাকুক, পরম মিত্র পাকিস্তান থাকবেই। আর এর ফলে চীনের পক্ষে এখন ভারতের বিরুদ্ধে কোন পদক্ষেপ নেওয়া বড় সমস্যা সৃষ্টি করবে।
আরেকদিকে রাশিয়াও ভারতের সমর্থনে কথা বলেছে। চীন রাশিয়াকে জানিয়েছিল যে তাঁরা যেন ভারতকে এই মুহূর্তে কোন হাতিয়ার না বিক্রি করে। কিন্তু রাশিয়া চীনের সমস্ত দাবি নস্যাৎ করে ভারতের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আরেকদিকে রাশিয়া সংযুক্ত রাষ্ট্রের সুরক্ষা পরিষদে স্থায়ী পদের জন্য ভারতের সমর্থন করবে বলে জানিয়ে দিয়েছে। এছাড়াও গোদের উপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে আমেরিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। আমেরিকার নয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, চীনের স্বৈরাচারী মনোভাবকে দমন করতে তাঁরা এশিয়ায় সেনা মোতায়েন করবে। এমনকি ভারতেও সেনা পাঠানোর সম্ভাবনা প্রচুর।
আরেকদিকে ভারত একের পর এক চীনের সাথে চুক্তি বাতিল করে চলেছে। এরফলে চীনের কয়েক লক্ষ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এমনকি চীন থেক আমদানি করা চীনা পণ্যের উপর লাগাম লাগাচ্ছে কেন্দ্র সরকার। ভারতের লোকাল পণ্য এখন চীনের গ্লোবাল পণ্যের উপর ভারি পড়তে চলেছে। এখন যদি ভারত চীনের সমস্ত পণ্য বয়কট করে দেয়, তাহলে চীনের অর্থনীতির কোমর ভেঙে পড়বে।