বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভারতের কাশ্মীর থেকে ১৭০ (Article 370) তুলে দেওয়ার পর ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধির পর ভারত দ্রুত গতিতে নিজের শক্তি বৃদ্ধি করছে। আর সেই ক্রমেই ভারতীয় সেনা ইজরাইল দ্বারা নির্মিত অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল (ATGMs) স্পাইককে (spike missile) ইন্টিগ্রেট করা হচ্ছে। আপনাদের জানিয়ে রাখি, ইজরাইলের সাথে ভারতীয় সেনার জন্য ৪০০ স্পাইক মিসাইলের চুক্তি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতীয় ডিফেন্স রিসার্চ এন্ড ডেভলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (DRDO) এইরকমই অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল বানাচ্ছে। এই প্রোগ্রামের জন্য ভারত একবার স্পাইস মিসাইলের চুক্তি স্থগিত করে দিয়েছিল। কিন্তু স্বদেশী অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইলকে প্রস্তুত করতে দেরি হওয়ার কারণে আবারও সেই ইজরাইলের সাথে চুক্তি করা হয়। যদিও স্বদেশী মিসাইলের কারণে এই চুক্তির মাত্রা সীমিত রাখা হয়েছে।
সুত্র থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ধাপে প্রায় ২১০ স্পাইক মিসাইল আর ১২টি লঞ্চার্স ভারতে পৌঁছে গেছে। ওই মিসাইল গুলোকে সেনায় ইন্টিগ্রেট করা হচ্ছে। আপনাদের জানিয়ে রাখি, স্পাইক তৃতীয় জেনারেশনের আধুনিক অ্যান্টি ট্যাঙ্ক গাইডেড মিসাইল। এই মিসাইলের রেঞ্জ প্রায় ৪ কিমি। পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার পর জঙ্গি ঘাঁটি বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনা এয়ারস্ট্রাইক করেছিল। এরপর ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়। আর এই কারণেই ভারতীয় সেনা ইজরাইলের থেকে তড়িঘড়ি স্পাইক মিসাইল কেনার মঞ্জুরি দেয়।
সুত্র থেকে পাওয়া খবর অনুযায়ী, বাকি স্পাইক মিসাইল গুলোকে খুব শীঘ্রই মোতায়েন করা হবে। আরেকদিকে এমনও শোনা যাচ্ছে যে, ডিআরডিও আগামী বছর পর্যন্ত স্বদেশী অ্যান্টি ট্যাঙ্ক মিসাইল বানাতে পারবেনা। আর সেই কারণে আরও কিছু ইজরাইলি স্পাইক মিসাইলের চুক্তি হতে পারে। যদি ডিআরডিও এর আশা আছে যে, তাঁরা ২০২০ সালের মধ্যে স্বদেশী MP-ATGM মিসাইলকে ট্রায়ালের জন্য পাঠাতে পারে। এই বছরের মার্চ মাসে ডিআরডিও ATGM মিসাইলের সফল পরীক্ষণ করেছিল।