কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তপ্ত হয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের সম্পর্ক। কাশ্মীর পাকিস্তানের অবিচ্ছেদ্য অংশ এই দাবি দীর্ঘদিনের। তাই তো কাশ্মীরের ওপর থেকে বিশেষ ধারা প্রত্যাহার করার পর থেকেই কাশ্মীর নিয়ে সমস্যা বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আলচনায় বসতে চাইছে পাকিস্তান। যদিও তাতে এতদিন অবধি আমল দেয়নি ভারত। কাশ্মীর ভারতের অন্তুর্ভুক্ত এই দাবিতেই এখন থেকে জম্মু ও কাশ্মীরকে দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করতে চলেছে ভারত। তবে দীর্ঘ টানাপড়েনের পর অবশেষে পাকিস্তানের সঙ্গে আলচনায় বসতে রাজী হয়েছে ভারত। তবে সেই আলচনার জন্য ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে একটি শর্তও দেওয়া হয়েছে। আর তা হল সন্ত্রাস ও ভয় মুক্ত পরিবেশে আলচনা।
আসলে কাশ্মীর ইস্যুকে কেন্দ্র করে যেভাবে ভারতকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছে পাকিস্তান তাতে যেকোনো মুহুর্তেই ভারতের ওপর জঙ্গী হামলা হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। আর তাই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কমিশনার ক্রিস্টোস স্টাইলিঅ্যানডিসের সঙ্গে কথা বলার সময় সন্ত্রাস ও ভয় মুক্ত পরিবেশে আলচনার প্রসঙ্গ তুলেছেন।
আমেরিকা সহ ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সমস্যা দ্বিপাক্ষিক আলচনার মাধ্যমে মিটিয়ে নেওয়ার কথা জানিয়েছে বার বার। এমনকি এই বিষয়ে সাহায্য করতে প্রস্তুত বলেও জানিয়েছে। তাই এদিনের বৈঠকে ভারত আবশেষে আলচনায় বসতে রাজী হওয়ার পর ভারতের বিদেশমন্ত্রী ট্যুইট করে বৈঠক ফলপ্রসু হওয়ার কথা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, কাশ্মীর নিয়ে ইতিমধ্যেই ভারতকে পরমানু যুদ্ধের হুঁশিয়ারি দিয়েছে পাকিস্তান। এছাড়াও সীমান্তে লাগাতার গোলাগুলিও চালাচ্ছে ইসলামাবাদ। যার জেরে ক্রমশই উত্তেজনার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দুদেশের কূটনৈতিক ও বানিজ্যিক সম্পর্কে।