বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ওভাল টেস্টের চতুর্থ দিনে চা পান বিরতি অব্দি ইংল্যান্ডের তুলনায় ৩৪৬ রানে এগিয়ে রয়েছে ভারতীয় দল। এখন তাদের স্কোর ৮ উইকেটের বিনিময়ে ৪৪৫। আজ সকালে অবশ্য শুরুতে তেমন ভালো হয়নি। জাদেজা এবং রাহানেকে দ্রুতই হারিয়েছিল ভারতীয় দল। তবে পান্থের হাত ধরে ইনিংস এগিয়ে নিয়ে চলেন কোহলি। যদিও অর্ধশতরান পূর্ণ করার ঠিক আগে ৪৪ রানের মাথায় মঈনের বলে ওভারটনের হাতে বন্দী হন তিনি। কিন্তু আজ ফের একবার নিজের নামের প্রতি সুবিচার করলেন শার্দুল ঠাকুর। কঠিন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে ৬০ রানের গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস উপহার দেন তিনি। অন্যদিকে সিরিজে শুরু থেকে রান না পেলেও আজ ভালো ফর্মে ছিলেন পান্থ। দায়িত্ব নিয়ে ১০৪ বলে নিজের অর্ধশত রান পূর্ণ করেন তিনিও। যদিও ইনিংস বেশি বড় করতে পারেননি এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। যার জেরে এখন উমেশ এবং বুমরার উপরেই নির্ভর ভারতীয় দল।
তবে আজ ওভালে যে ভারত প্রায় জয়ের স্বপ্ন দেখছে তার কিছুই হয়তো সম্ভব হত না রোহিত শর্মা না থাকলে। গতকাল প্রথমে রাহুল এবং পরে পূজারার সঙ্গে জুটি বেঁধে যে শতরান উপহার দেন তিনি, ভারতের জন্য কার্যত সুর ঠিক করে দিয়েছিল সেই ১২৭ রানের ইনিংসই। ১৪ টি চার এবং একটি ছয় দিয়ে সাজানো এই ইনিংস বাদ দিলে ভারতের চাপে পড়ে যেত অনেকটাই তা বলাই বাহুল্য।
সবচেয়ে বড় একটি সুখবর রয়েছে ভারতের জন্য। রোহিত শর্মা যখনই টেস্ট ক্রিকেটে সেঞ্চুরি করেছেন,সেই ম্যাচে ভারত কখনও হারেনি। এপর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে ৭টি শতরান রয়েছে তার। প্রতিবারই জয় তুলে নিয়েছে ভারতীয় দল। ২০১৩ সালে প্রথম ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করেন রোহিত। তার ১৭৭ রানের ইনিংসের পর ভারত এক ইনিংস এবং ৫১ জিতে নিয়েছিল ম্যাচ। এরপর একই সিরিজে মুম্বাই টেস্টে ১১১ রানের ইনিংস খেলেন রোহিত। সেই ম্যাচটিও এক ইনিংস এবং ১২৬ রানে জিতে নিয়েছিল ভারত।
এরপর ২০১৭ সালে শ্রীলংকার বিরুদ্ধে ১০২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন হিটম্যান সেই ম্যাচও এক ইনিংস এবং ২৩৯ রানে জিতেছিল ভারত। এরপর ২০১৯ সালে টেস্ট ক্রিকেটে ওপেনিং করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে বিশাখাপত্তনমে প্রথম ইনিংসে ১৭৬ এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ১২৬ রান করেছিলেন রোহিত, সেই টেস্টও যথারীতি ২০৩ রানে জিতে নিয়েছিল ভারতীয় দল। একই সিরিজে রাঁচিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি পান হিটম্যান। তার ২১২ রানের এই ইনিংসের দৌলতে ২০২ রানে ম্যাচ জিতেছিল বিরাট ব্রিগেড।