বাংলাহান্ট ডেস্ক : ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক মহলে বড়সড় নাড়া দিতে চলেছে ভারত (India), রাশিয়া এবং আমেরিকা। রাশিয়ার সঙ্গে ইউক্রেন যুদ্ধের মাঝেই এবার মস্কোয় এক হতে চলেছেন তিন দেশের নেতা নরেন্দ্র মোদী, ভ্লাদিমির পুতিন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ার সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ৮০ তম বিজয় উৎসব উদযাপনেই মস্কো পাড়ি দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। অন্যদিকে আমন্ত্রণ জানানো হবে ট্রাম্পকেও। আর তিন নেতৃত্বের একত্র হওয়া আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নতুন মোড় নিয়ে আসবে বলে মন্তব্য করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাশিয়ায় একত্রিত হবে ভারত (India) আমেরিকা
রাশিয়ার সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, আগামী ৯ ই মে মস্কোয় ‘গ্রেট প্যাট্রিয়টিক ওয়ার’ এর বিজয় উৎসবে দেশের সেনাবাহিনী সহ যোগ দেবেন ভারতের (India) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সম্প্রতি পুতিনের সাংবাদিক সম্মেলনে প্রেস সেক্রেটারি এমনি ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি জানান, ‘সিআইএস’ এর বাইরের দেশগুলিকেও এই উৎসবে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। সঙ্গে বিজয় দিবসের গুরুত্ব যারা উপলব্ধি করেন তাদেরও এই বিজয় উৎসবে স্বাগত জানানো হচ্ছে। এর অর্থই হল, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে রাশিয়ার মিত্রশক্তি আমেরিকাকেও আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে।
কী বলছেন কূটনীতিকরা: শোনা যাচ্ছে, বিজয় উৎসবের অন্তত এক মাস আগে মস্কোয় পৌঁছাতে পারে ভারতীয় (India) সেনাবাহিনী। তবে নরেন্দ্র মোদীর রাশিয়া সফরের দিনক্ষণ এখনো জানানো যায়নি। রাশিয়ায় আমেরিকা এবং ভারতের (India) একত্রিত হওয়ার নেপথ্যে বড় সমীকরণ তৈরির লক্ষণ দেখছে কূটনীতিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ রাশিয়ার তরফে ইতিমধ্যেই ইউক্রেনের দখলীকৃত জমি আমেরিকার সঙ্গে ভাগাভাগি করার প্রস্তাব দিয়েছে। অন্যদিকে রাষ্ট্রসঙ্ঘে রাশিয়ার হয়ে ভোট দিয়েছে আমেরিকা।
আরো পড়ুন : মেনে নিতে পারছেন না দর্শকরা, ট্র্যাক বদলাতেই নায়িকা পরিবর্তনের দাবি জি এর মেগায়
আমেরিকার রাশিয়া প্রীতি: রাজনৈতিক মহল মনে করছে, আমেরিকা চাইছে রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়াতে। আর এর নেপথ্যে সবথেকে বড় কারণ চিন। রাশিয়ার সঙ্গে চিনের ঘনিষ্ঠতা আটকাতেই পুতিনের সঙ্গে সমঝোতায় আসতে চাইছেন ট্রাম্প। তাই রাশিয়ার তরফে আমন্ত্রণ এলে আমেরিকার তা ফিরিয়ে না দেওয়ার সম্ভাবনাই প্রবল বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।
আরো পড়ুন : ফের তোলপাড় বাংলাদেশ! উভয়সঙ্কটের সম্মুখীন হয়ে মহা বিপদে ইউনূস
এদিকে রাশিয়ার সঙ্গে মিত্রতা থাকলেও ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের বিষয়ে বরাবর শান্তির পথেই হেঁটেছে ভারত (India)। আর বেজিংয়ের সঙ্গে নয়াদিল্লির রসায়ন ঠিক কেমন তা আমেরিকা জানে খুব ভালো ভাবেই। তাই ভারত এবং রাশিয়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব আরো মজবুত করার দিকেই আমেরিকা লাভ দেখবে বলে মনে করা হচ্ছে। আর সেই দিক থেকেই তিন দেশের সমীকরণ নতুন মাত্রা পাবে বলে আশা করা যাচ্ছে।