বাংলা হান্ট ডেস্ক : আগামী সপ্তাহেই মার্কিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। তার আগেই খুশির খবর নয়া দিল্লির জন্য। ভারত (India) ও আমেরিকার (America)মধ্যে আরও মজবুত হতে চলেছে সম্পর্ক। এবার দুই দেশ মিলিতভাবে তৈরি করতে পারে ফাইটার জেটের ইঞ্জিন(Fighter Jet Engine)।
বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, দুই দেশের মধ্যে এই জেট ইঞ্জিন তৈরির চুক্তি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। বর্তমানে শেষ পর্যায়ের কথাবার্তা চলছে। চিনা আগ্রাসনের মুখে ভারত ও আমেরিকার যৌথ সামরিক উদ্যোগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা।
বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ভারতের সঙ্গে মিলিত উদ্যোগে ফাইটার জেটের ইঞ্জিন তৈরি করতে আগ্রহী আমেরিকা। এই নিয়ে চুক্তির কথাবার্তাও চলছে। আগামী কিছুদিনের মধ্যেই হোয়াইট হাউসের কাছে জেনারেল ইলেকট্রিক কোম্পানি প্রস্তাবনা পেশ করতে পারে। ম্যাসাচুসেটের এই অ্যারোস্পেস উৎপাদনকারী সংস্থা ভারতের হিন্দুস্তান অ্যারোনটিকিস লিমিটেডের সঙ্গে মিলিত উদ্যোগে ফাইটার জেটের ইঞ্জিন তৈরি করতে পারে। আপাতত তেজাস লাইট কমব্যাট যুদ্ধবিমানগুলির জন্যই ইঞ্জিন তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছে বিদেশমন্ত্রক।
আগামী ২১ জুন মার্কিন সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মার্কিন কংগ্রেসে তাঁকে বক্তব্য রাখার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও প্রধানমন্ত্রী মোদীর জন্য বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই সফরের আগে এই চুক্তি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিই প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী, যাকে দ্বিতীয়বার মার্কিন কংগ্রেসে বক্তব্য রাখার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বিগত প্রায় এক দশক ধরে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক মজবুত হয়েছে। একাধিক ক্ষেত্রে দুই দেশ একে-অপরকে সমর্থন জানিয়েছে।
বিগত কয়েক বছরে চিন যেভাবে শক্তি বাড়াচ্ছে, তা ভারত, আমেরিকা সহ একাধিক দেশের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। সেই পরিস্থিতিতে আমেরিকার সঙ্গে ভারতের এই চুক্তি একদিকে যেমন ক্ষমতা বাড়াবে, তেমনই সামরিক অস্ত্রশস্ত্রের ক্ষেত্রে রাশিয়ার উপরে নির্ভরশীলতাও কমবে। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।