বাংলাদেশের চরম দুর্দশায় কপাল খুলল ভারতের! রয়েছে এই সুবর্ণ সুযোগ

বাংলাহান্ট ডেস্ক : শেখ হাসিনাকে ছাড়া বাংলাদেশের (India-Bangladesh) অবস্থা রীতিমতো সঙ্কটজনক। গত অগাস্টে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেশ ছাড়ার পরেই অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। কিন্তু সেই সরকার দেশে না বজায় রাখতে পেরেছে শৃঙ্খলা, না ফিরেছে অর্থনীতির হাল। উপরন্তু মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নয়া বাণিজ্য নীতির ফলে বড় ধাক্কা লেগেছে বাংলাদেশের (India-Bangladesh) বস্ত্রশিল্পে। আর এখন আবার নতুন করে সমস্যা দেখা দেওয়ায় বড় লাভ হতে পারে ভারতের।

বাংলাদেশের (India-Bangladesh) সমস্যায় লাভবান হবে ভারত

বাংলাদেশের (India-Bangladesh) চিংড়ি ব্যবসা কার্যত ধ্বংসের মুখে। পরপর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে কারখানাগুলি। কমে গিয়েছে রপ্তানি। সেই সঙ্গে আরো কিছু চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প সম্পূর্ণ ধসে পড়তে চলেছে। আর ঠিক এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়েই বড়সড় লাভের মুখ দেখতে পারে ভারত। কারণ এইটাই সময় বাংলাদেশকে (India-Bangladesh) ‘আউট’ করে বাজারে প্রভাব তৈরি করার।

India-Bangladesh profit ratio will change because of this

ধস নেমেছে চিংড়ি ব্যবসায়: বাংলাদেশের (India-Bangladesh) সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, চিংড়ি ব্যবসা এক সময় কোটি কোটি ডলার নিয়ে আসত দেশের অর্থনীতিতে, এখন সেই ব্যবসা ভয়াবহ মন্দার মুখে পড়েছে। রপ্তানি প্রায় অর্ধেক হয়ে যাওয়াতে বেশিরভাগ কারখানার দরজায় তালা পড়েছে। মাথায় হাত পড়েছে বহু মানুষের। কারণ এই ব্যবসা বাংলাদেশের (India-Bangladesh) গ্রামীণ অর্থনীতির মেরুদণ্ড ছিল। বহু মানুষের অর্থসংস্থান করত এই ব্যবসা। কিন্তু একাধিক কারণে আজ তা বন্ধ হওয়ার দোরগোড়ায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কাঁচামালের ঘাটতি, রপ্তানি অর্ধেক হয়ে যাওয়া, বাংলাদেশের (India-Bangladesh) রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের কারণেই এই হাল চিংড়ি ব্যবসার।

আরো পড়ুন : নির্মাতাদের কান পর্যন্ত পৌঁছালো দর্শকদের দাবি, মাস ঘুরতেই “মুখবদল” জলসার TRP টপার মেগায়!

কেন বন্ধ হচ্ছে কারখানা: বাংলাদেশ (India-Bangladesh) ফ্রোজেন ফুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জানা গিয়েছে, দেশ জুড়ে মোট ১০৯ টি চিংড়ি প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা ছিল। কিন্তু তার মধ্যে থেকে মাত্র ৩০ টি খুলনায় এবং ১৮ টি চট্টগ্রামে সক্রিয় রয়েছে এখনো। বাকি গুলিতে ইতি মধ্যেই তালা পড়ে গিয়েছে। রিপোর্ট বলছে, এই কারখানাগুলির বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ৪ লক্ষ টন। কিন্তু বর্তমানে প্রয়োজনীয় উৎপাদনের মাত্র ৭ শতাংশই পাওয়া যাচ্ছে। মূলত এই বিপুল ঘাটতির কারণেই অনেক কারখানায় তালা পড়ছে।

আরো পড়ুন : প্যারাসিটামল থেকে শিশুদের ওষুধ, কেন্দ্রের পরীক্ষায় ব্যর্থ ৯৩ টি ওষুধ! রয়েছে বঙ্গের “নিষিদ্ধ” স্যালাইনও

উল্লেখ্য, চিংড়ি রপ্তানির ক্ষেত্রে ভারত রয়েছে প্রথম সারিতেই। ভারত থেকে চিংড়ি রপ্তানি হয় আমেরিকা, জাপান, ইউরোপীয় ইউনিয়নের দেশগুলিতে। জানিয়ে রাখি, ২০২৩-২৪ সালে প্রায় ১৭,৮১,৬০২ মেট্রিক টন চিংড়ি রপ্তানি করে ভারত প্রায় ৬০,৫২৩.৮৯ কোটি টাকা আয় করেছে। এর মধ্যে ২,৯৭,৫৭১ মেট্রিক টন ফ্রোজেন চিংড়ি গিয়েছে মার্কিন বাজারে। তবে বাংলাদেশের (India-Bangladesh) চিংড়ির চাহিদা বিদেশে সবথেকে বেশি। ইউরোপের বহু দেশেই রপ্তানি করা হয় বাংলাদেশের চিংড়ি। এখন বাংলাদেশের চিংড়ি ব্যবসায় লাল বাতি জ্বলতে ভারতের কাছে এসেছে বড় সুযোগ। এই দেশগুলির বাজার ধরতে পারলেই ভারতে অর্থনীতি ফুলেফেঁপে উঠবে। বাংলাদেশের সর্বনাশেই ভারতের পৌষমাস হবে।

Niranjana Nag
Niranjana Nag

নীরাজনা নাগ, বাংলা হান্টের কনটেন্ট রাইটার। নারুলা ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি থেকে স্নাতক পাশ করার পর সাংবাদিকতার সফর শুরু। বিগত ৫ বছর ধরে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত।

সম্পর্কিত খবর