বাংলাহান্ট ডেস্ক : প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলির দুর্দিনে সর্বদাই ত্রাতা হিসাবে উদিত হয়েছে ভারত। তবে অনেক সময়েই বন্ধু ভেবে পাশে থাকা প্রতিবেশী রাষ্ট্রের থেকে ছলনা ও বিশ্বাসঘাতকতা পেয়েছে ভারত। এই তালিকায় ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশও। সে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় থেকেই সুখে-দুখে বাংলাদেশের পাশে থেকেছে ভারত (India-Bangladesh)। তবে পদ্মা পারে হাসিনা সরকারের পতনের পর বদলে গেছে দুই দেশের রসায়ন।
ভারতের কাছেই হাত পাতছে বাংলাদেশ (India-Bangladesh)
হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দিল্লির সাথে মজবুত দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক গড়ে ওঠে ঢাকার। তবে হাসিনা সরকারের পতনের পর ফাটল ধরেছে দুই দেশের (India-Bangladesh) সম্পর্কে। বাংলাদেশের ইউনূস নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের জামানায় বদলে গেছে দুই দেশের সমীকরণ। ইউনূস সরকারের ভারত বিরোধী মনোভাব তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে প্রতিদিন।
আরও পড়ুন : ‘বাংলার মানুষের চেয়ে নিজের বিলাসিতাকে বেশি প্রাধান্য দেন মমতা’! হাওড়াকাণ্ডে বিস্ফোরক সুকান্ত
ক্ষমতায় এসে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ভারত ‘নির্ভরতা’ কমাতে একাধিক উদ্যোগ নেন। পড়শী ভারতের থেকে পণ্য আমদানি কমিয়ে, বিকল্প ব্যবস্থা গড়ে তুলতে চেয়েছিলেন ইউনূস। তবে ঘুরে ফিরে বারংবার বাংলাদেশকে দ্বারস্থ হতে হচ্ছে দিল্লির। এবার বাংলাদেশিদের বহু প্রতীক্ষিত জিআই-ট্যাগযুক্ত গুড় সেদেশে রপ্তানি করল ভারত। জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশের মুজাফফরনগর থেকে ৩০ টন জিআই-ট্যাগযুক্ত গুড় পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশে।
আরও পড়ুন : প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ায় তোলপাড় রাজ্য! বাতিল হচ্ছে পরীক্ষা, বিরাট ঘোষণা শিক্ষামন্ত্রীর
শনিবার একটি সরকারি বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে এই তথ্য। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) মুজাফফরনগরের উচ্চমানের গুড় প্রসিদ্ধ গোটা বিশ্বজুড়েই। প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ গুড় বিশ্বের একাধিক প্রান্তে রপ্তানি করা হয়ে থাকে মুজাফফরনগর থেকে। বিশ্ববন্দিত এই গুড় লাভ করেছে জিআই ট্যাগও। এবার বাংলাদেশিদের রসনা তৃপ্তিতে বাড়তি আমেজ যোগ করবে মুজাফফরনগরের গুড়।
শনিবার একটি বিবৃতি জারি করে বলা হয়েছে, ‘পশ্চিম উত্তর প্রদেশ থেকে কৃষক উৎপাদক সংস্থা (FPO) এবং কৃষক উৎপাদক সংস্থাগুলির (FPC) মাধ্যমে গুড় রপ্তানি শুরু হচ্ছে বাংলাদেশে।’ পাশাপাশি ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রকের তরফে আরও বলা হয়েছে, ভারত মিজোরাম থেকে এই প্রথম অ্যান্থুরিয়াম ফুল রপ্তানি করেছে সিঙ্গাপুরে। মিজোরামে উৎপাদিত প্রসিদ্ধ অ্যান্থুরিয়াম ফুল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে স্থানীয় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে।